ফেনীতে ১১টি স্থানে নদী ভাঙন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি
শাহজালাল ভূঞা, ফেনী : ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলার বিভিন্ন নদীর ১১টি স্থানে ভেঙে গেছে। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি। ডুবে গেছে ফসলি জমি। নষ্ট হচ্ছে সবজি ক্ষেত। দিশেহারা এসব এলাকার কয়েক হাজার লোক। আমন ও বোরো আবাদ নিয়েও শঙ্কায় কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে পরশুরাম ও ফুলগাজীতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১১টি স্থানে ভেঙে গেছে। বাঁধের প্রায় ৪৭৫ মিটার পুরোটা ভেয়ে গেছে। প্রায় এক কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনী নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়পুর, জগন্নাথ সোনাপুর, উত্তর ও দক্ষিণ নাঙ্গলমোড়া, মুহুরীগঞ্জ এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলা আমিরাবাদ ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম, চর লামছি, ডুব্বা, পূর্ব সোনাপুর ও বাদামতলী গ্রামের প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নৈর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির জানান, ছোট ফেনী নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে বেশকিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনই বাঁধ মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া না হলে ছোট ফেনী নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এ প্রসঙ্গে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলম বলেন, ফরহাদ নগরের জগত জীবনপুর ও নাঙ্গল মোড়া এলাকার ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বন্যায় ভেঙে যাওয়া মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়অ নদীর বাঁধ মেরামতেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি পয়েন্টে কাজ শুরু হয়েছে।