ইমরুল শাহেদ : বেশ কিছু দিন মোটামুটিভাবে শান্ত থাকার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উপত্যকা নগরী জম্মু-কাশ্মীর। কারফিউ অগ্রাহ্য করে শুক্রবার কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। দফায় দফায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। ভারত মনে করে এর নেপথ্যে কাজ করছে পাকিস্তান। তাই ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং বিজেপির এমপি আর কে সিং পার্লামেন্টে পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
গ্রেটার কাশ্মিরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে শুক্রবারই আহত হয়েছেন ১২০ জন। আহতদের মধ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। প্রতিরোধ নেতাদের ডাকে শুক্রবার কুপওয়ারা জামে মসজিদ মার্চ শুরু হলে এ ঘটনা ঘটে। ভারতের দৈনিক আজকালের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মিরের এ গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কিছু অনুপ্রবেশকারী সুযোগ নিতে চাইছে। শুক্রবার গভীর রাতে কুপওয়ারার নিয়ন্ত্রণরেখা পেরনোর চেষ্টা করলে সেনা বাহিনীর গুলিতে ২ জন অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়। নিহত হয়েছে ২ জন সেনা সদস্যও। এছাড়া বুধবারও এখানে ৪ জন অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনারা। জীবিত গ্রেপ্তার হয়েছে ১ জন। এ বছর পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকেছে প্রায় ১০০ অনুপ্রবেশকারী। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জামিয়া মসজিদমুখী একটি মিছিল যাওয়ার সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি, মধ্যপন্থী মিরওয়াইজ ওমর ফারুক রয়েছেন। এর পরই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে। কাশ্মীর প্রসঙ্গ ও পঠানকোটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা নিয়ে শুক্রবার ভারতীয় পার্লামেন্টে নিজের বক্তব্য রাখেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসে কোনো লাভ নেই। কথা হওয়ার পরও তারা বার বার সেই আলোচনার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তাই এখন পাল্টা জবাব দেয়ার সময় এসেছে। প্রত্যাঘাতের রাস্তা খুঁজতে হবে ভারতকে। আরো বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়। আর এরপরই সেই সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে পাঠিয়ে হামলা চালায় তারা। ভারতের পার্লামেন্টে শুক্রবার একই দাবি করেন বিজেপি এমপি আর কে সিং।