ভালো আছে ডলির সন্তানেরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডলির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই জন্ম নেওয়া ক্লোন ভেড়া। পৃথিবীর প্রথম ক্লোন স্তন্যপায়ী। ডলি মারা গিয়েছিল তুলনামূলকভাবে কম বয়সে। বেঁচে ছিল সাড়ে ৬ বছর। বাত রোগে ভুগে মারা গিয়েছিল সে। ডলির মৃত্যুতে বিজ্ঞানী মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল হয়তো ক্লোন প্রাণি তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যায়। বিবিসি।
নতুন এক গবেষণায় ভিন্ন উত্তর এসেছে। ডলির মতোই ক্লোন করা চারটি ভেড়া বেড়ে উঠছে স্বাভাবিক নিয়মে। আর বাত রোগের প্রতিও এ ভেড়াগুলো প্রায় স্বাভাবিক সাড়া দিচ্ছে। কোনোটি সামান্য রোগে ভুগছে। কোনোটি একটু বেশি। তবে একটিকেও চিকিৎসা দেওয়ার দরকার পড়েনি।
২০ বছর আগে প্রথম ক্লোন স্তন্যপায়ী হিসেবে ডলির জন্ম বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। তার জন্মের মধ্য দিয়ে গবেষক মহলে আশার সঞ্চার করে যে, বিলুপ্তি ঝুঁকিতে থাকা অনেক প্রজাতিকে হয়তো রক্ষার পথ পাওয়া গেল এ কৌশলের মধ্য দিয়ে। ক্লোন পদ্ধতি ২০ বছরে অনেক দূর এগিয়েছে।
তবে মীমাংসা হয়নি নৈতিকতার প্রশ্নের। এমন পদ্ধতিতে প্রাণির জন্ম দেওয়াটা কতটা নৈতিকÑ এ নিয়ে এখনো বিতর্ক আছে বিজ্ঞানী ও বিদ্বৎজনদের মধ্যে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ