আশুগঞ্জ মোকামে ধানের আমদানি নেই
সন্তোষ চন্দ্র সূত্রধর, আশুগঞ্জ(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : হাওড়ে ধান নেই, তাই ধানের আমদানি নেই আশুগঞ্জ মোকামেও। ধানের আমদানি কম হওয়াতে ধান নিয়ে আসা পাইকাররাও দাম হাকাচ্ছেন অনেক বেশি। তাই মিল মালিকরা বর্তমান দামে ধান কিনে চালের বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকার কারণে বেশি দামে চাল বিক্রি করেও লোকসানের মুখে পড়ছে। আর এ কারণে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় সবচেয়ে বড় পাইকারী মোকাম আশুগঞ্জে বেড়েছে চালের দাম।
ধান সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক চাতালকল। বন্ধের পথে আরও অন্তত অর্ধশতাধিক চাতাল। যাদের কাছে আগে থেকেই ধান মজুদ রয়েছে তাদের অধিকাংশ মিলই এখন সচল রয়েছে।দেশের পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তর হাওরাঞ্চল কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহের উৎপাদিত ধান আসে আশুগঞ্জ মোকামে আসে। আর হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান দিয়েই চলে আশুগঞ্জ মোকামের ব্যবসা-বাণিজ্য। অন্যান্য বছরে আশ্বিন মাসে ৮০ থেকে ৯০টি নৌকা দিয়ে গড়ে ধান আসত ৬০ হাজার মনের মতো।
কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি নৌকা দিয়ে গড়ে ২৫ থেকে ২৬হাজার মন ধান আসছে এ মোকামে। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের আমদানি কম হওয়াতে ধান সংকটের কারণে মিল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই অনেক মিল বন্ধ রাখতে বরাদ্ধ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আবার অনেকে মিল চালু রাখতে আগে থেকেই কিছু ধান মজুদ করে রাখতে হয়েছে। এতে করে ধার দেনা করে বিপুল পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান