‘বন্ডে বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার হচ্ছে’
অর্থনৈতিক ডেস্ক : প্রতি বছর ৬০ হাজার কোটি টাকার বন্ডের অপব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বুধবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ অপব্যবহার না হলে এ টাকা অবকাঠামো খাতে ব্যয় করা যেত। এ অবব্যবহার রোধে বিজিএমইএর সহায়তা চান নজিবুর রহমান। ঢাকা টাইমস
রাজধানীর এক হোটেলে ‘পোশাক শিল্পের বর্তমান ও করণীয়, শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
এনবিআর চেয়াম্যানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আপনি বলেছেন ৬০ হাজার কোটি টাকা বন্ডের সুবিধার অপব্যবহার হয়। বন্ড শুধু গার্মেন্টস সেক্টরে আছে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন সেক্টরে এটা আছে। আমাদের থেকে এনবিআর কে সব রকম সহোযোগিতা করা হবে। আমরা অনেক দিন ধরে শুনে আসছি বন্ডের অপব্যবহার হচ্ছে। তবে কোথায় অপব্যবহার হচ্ছে সেটা খুজে বের করার দায়িত্ব এনবিআররে এ দায়িত্ব আমাদের নয়। উল্লেখ্য, রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার কতিপয় খাতে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব কাঁচামাল কেবল রপ্তানিকৃত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে এই শর্তে আমদানিকারকরা এই সুবিধা গ্রহণ করেন। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এসব কাঁচামাল রপ্তানিতে ব্যবহার না করে অধিক মুনাফা লাভের জন্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। গোলটেবিল বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ, নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : মোনা হক