সংসদের প্রতিনিধিদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সেনাবাহিনী চান এরশাদ
সাইদ রিপন : আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার ভেঙে দিয়ে সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। একই সাথে বিএনপি বর্তমান সংসদে না থাকায় তাদের এ সরকারে থাকার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে অন্যান্য কমিশনারসহ ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে এরশাদের নেতৃত্বে ২৫ সদস্য প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
লিখিত বক্তব্যে এরশাদ দাবি করেন, প্রতিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় পার্টির প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। ফলে দলটি মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বক্তব্যে জানানো হয়, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়ন ও নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। দলীয় প্রধানের সুপারিশের ভিত্তিতে অন্তবর্তী মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ করতে হবে। নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনে কোনো বিতর্কিত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে রাখা যাবে না।
দলটি আরো জানায়, নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে সব খরচ তার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করতে হবে। প্রচার কাজের গাড়িবহর সীমিত রাখার বিধান রাখতে হবে। সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে বার বার সীমানা নির্ধারণ না করে ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রয়োজনে সংবিধানের ধারা-উপধারা সংশোধন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে হবে মত দিয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় পার্টির একটি সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন বলে মনে করছে দলটি। উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সাথে মত বিনিময় শুরু করে ইসি। এ পর্যন্ত ২৬টি দলের সাথে সংলাপ করেছে কমিশন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ