দর্শক চাইলেই নিয়মিত হবো : আলমগীর
অভি মঈনুদ্দীন : অভিনেতা, কাহিনীকার, প্রযোজক, পরিচালক নায়ক আলমগীর দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। তার এবারের চলচ্চিত্রের নাম ‘একটি সিনেমার গল্প’। গত ১০ অক্টোবর থেকে বিএফডিসিতে চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরু হয়েছে। এতে আলমগীর নিজেও অভিনয় করছেন। অন্যদের মধ্যে আছেন চম্পা, ঋতুপর্ণা, আরিফিন শুভসহ আরো অনেকে।
এরইমধ্যে আলমগীর নির্দেশিত এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে। এর দুটি কারণ। একটি দীর্ঘদিন পর আলমগীর নিজেই নির্দেশনায় এসেছেন এবং আরেকটি কারণÑ এই চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর নায়ক আরিফিন শুভ অভিনয় করছেন। পাশাপাশি অন্যান্য বিশেষ কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑ দীর্ঘদিন পর ঋতুপর্ণা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এই চলচ্চিত্রের মধ্যদিয়েই সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয়েছে রুনা লায়লার। চলচ্চিত্রটি আলমগীরের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘আইকন এন্টারটেইনম্যান্ট’র ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে।
দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ মনের ভেতর একটি গল্প ঘুরপাক খাচ্ছিলো। সেই গল্পটিই নিজের মনের মতো করে লিখে ফেললাম। প্রতিটি সংলাপের সঙ্গে আমার আবেগ ভীষণভাবে জড়িত। যে কারণে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমার স্বপ্নও ছিলো অনেক। অবশেষে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু করেছি। প্রত্যেকেই যার যার অবস্থানে থেকে বেশ ভালো অভিনয় করছেন। বিশেষ করে ঋতুপর্ণা অসাধারণ একজন ম্যাচিউরড আর্টিস্ট। কিছু কিছু দৃশ্যে আমার প্রত্যাশার বাইরে অনেক ভালো অভিনয় করছে। এতটা ভালো অভিনয় করবে আমি ভাবতেও পারিনি। সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্রটিতে ঋতু তার চরিত্রে টু হান্ড্রেড পারসেন্ট এক হয়ে গেছে। চলচ্চিত্রে ঋতু কবিতা চরিত্রে অভিনয় করছে। কিন্তু চরিত্রটিতে সে এতটাই মিশে গেছে যে ঋতু আর ঋতু নেই, যেন কবিতাই হয়ে গেছে।’
এখন থেকে কি চলচ্চিত্র নির্মাণে নিয়মিত হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘যদি দর্শক চায় তাহলে অবশ্যই নিয়মিত হবো, কেন নয়। একটি সিনেমার গল্পর শুটিং শেষ হোক, চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাক। দর্শক যদি হলে গিয়ে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে তাদের মতামত জানান তবে নির্মাতা হিসেবে আমি ভীষণ খুশি হবো। আমি দর্শকের জন্যই চলচ্চিত্রটি তৈরি করছি।’
আলমগীরের নির্দেশনায় কাজ করা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আলমগীর ভাই আমাকে খুব স্নেহ করেন, আদর করেন। প্রতিটি দৃশ্যের আগে আমাকে বেশ ভালোভাবে সবকিছু এতো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন যে আমি আপন মনে কাজ করতে পারি। এক কথায় আমার চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে আমাকে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন। শুধু আলমগীর ভাই-ই নন। পুরো ইউনিটই আসলে আমাকে খুউব সহযোগিতা করছে। সাদেক বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর কাজ করে ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে আমি এখানে এমন আরো ভালো কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই যেন এখানকার দর্শক আমার নামটি শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করেন। সেই চেষ্টা আর সেই সাধনাটা আমার মধ্যে থাকবে। কারণ বাংলাদেশের দর্শকের কাছে আমার বেশ ভালো একটা পরিচিতি আছে। সেই পরিচয়টা বেশ সম্মানের সঙ্গে আমি ধরে রাখতে চাই। আর সেটা একমাত্র সম্ভব এখানে ভালো ভালো কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করার মধ্যদিয়ে।’
উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক আলমগীর ১৯৮৬ সালে ‘নিষ্পাপ’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্যদিয়ে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মœপ্রকাশ করেন।