সামরিক হস্তক্ষেপ এড়াতে লন্ডনে রেহানা খালেদা ‘ট্রুস’, এই প্রচারণা কেন?
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে
খবরটা এড়িয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু হলো না। কারণ, এমন এক ব্যক্তির ফেসবুকে পোস্টটি এসেছে, যা উপেক্ষা না করাই ভালো। তিনি একাধারে আধুনিক ইতিহাস, রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষক-বিশ্লেষক, গ্রন্থাকার, বাংলাদেশে ডেইলি স্টার পত্রিকার কলামিস্ট এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের অস্টিন পিয়ে স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যায়বিচার বিষয়ক অধ্যাপক। এর আগে অধ্যাপনা করেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, কলেজ অব এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ, কানাডার সাইমন ফ্রেশার ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভাসিটি, সিঙ্গাপুরের স্টেট ইউনিভাসিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার রচিত পাঁচটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছেÑ কলোনিয়াল বেঙ্গল, পাকিস্তান এজ এ পিয়াসেন্ট ইউটোপিয়া, উইমেন ইন ইসলাম ইন বাংলাদেশ, মুসলিমস অ্যান্ড দ্য মডার্ন স্টেট এবং গ্লোবাল জিহাদ অ্যান্ড আমেরিকা। তার পুরো নামÑ ডক্টর তাজ উল-ইসলাম হাশমী, সংক্ষেপে তাজ হাশমী।
উত্তর আমেরিকায় গত ১৩ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকাল ৪টা ৫১ মিনিটে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় ১৪ অক্টোবর সকাল ২টা ৫১ মিনিটে তাজ হাশমী তার ফেসবুকে যে ইংরেজি পোস্টটি দেন, তা হচ্ছেÑ ‘রেহানা মিটস খালেদা ইন লন্ডন: আওয়ামী-বিএনপি ট্রুস, অর মিলিটারি টেকঅভার, ইন্এভিটাবল্? এতে সর্বশেষ ৪৬ জন লাইক দিয়েছেন এবং কমপক্ষে ২০ জন তাজ হাশমীর সঙ্গে পারস্পরিক মতবিনিময় করেছেন। সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘ইফ ইট ইজ ট্রু, ইটস এ গুড সাইন’, অর্থাৎ সেটা যদি সত্যি হয়, তা ভালো লক্ষণ।
কিন্তু সামগ্রিকভাবে জনৈক হাসান মাহমুদের প্রথম মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই মূলপোস্টের ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট পর অধ্যাপক ড. তাজ হাশমী পুনরায় লিখেছেন, “দ্য ‘ট্রুস’ ইজ আওয়ামী ইনিশিয়েটেড। নাও হাসিনা থিঙ্কস অ্যারেস্টিং খালেদা উড স্পেল ডিজাস্টার ফর দ্য রেজিম, ডিউ টু ভেরিয়াস ডোমেস্টিক অ্যান্ড এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর্স। হাসিনা ইজ নো লংগার অন এ রিকলাইনিং চেয়ার, শি ইজ অন দ্য এজ অব দ্য চেয়ার, ওয়েরিং রানিং স্যুজ টু রান আওয়ে, ফাস্ট”!
সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মোস্তফা খালেদ লিখেছেন, ‘হাসিনা ইজ গোয়িং টু ইউজ আর্মি টু ডেস্ট্রয় বিএনপি। শি ডোন্ট ওয়ান্ট টু ডু ইট ডাইরেক্টলি। রিমেম্বার, হাউ সিসি ডেস্ট্রয়েড ইলেকটেড মুরসি’। অর্থাৎ বিএনপিকে ধ্বংসে হাসিনা সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করবেন। তিনি তা সরাসরি করবেন না। মনে আছে (মিসরে), কীভাবে সিসি নির্বাচিত মুরসিকে ধ্বংস করেছেন।
তবে আলোচ্য পোস্টের পরদিন, ১৪ অক্টোবর ড. তাজ হাশমী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে আরও দুটি বক্তব্যের পোস্ট দিয়েছেন। প্রথমত, ‘এ এফবি ফ্রেন্ডস কমেন্ট অন জাস্টিস এস কে সিনহা ইপিসোড: ফার্স্ট ক্যান্সার, দেন করাপশন, হোয়াট নেক্সট, এইডস?!’ অর্থাৎ বিচারপতি এস কে সিনহা ঘটনাক্রমে এক ফেসবুক বন্ধু মতামত দিয়েছেন: প্রথমে ক্যান্সার, পরে দুর্নীতি, এর পরেরটা কী এউডস?! দ্বিতীয়ত, “ওয়ান আওয়ামী লইয়ার অন ৭১-টিভি টকশো: ‘জাস্টিস সিনহা ইজ মেন্টালি আনস্টাবল্’! ১) ক্যান্সার, ২) করাপশন, ৩) ইনস্যানিটি- হা!”
ই-মেইল: নঁশযধৎর.ঃড়ৎড়হঃড়@মসধরষ.পড়স