এসকে সিনহার ৭টি অভিযোগ সম্পর্কে জানি, সবগুলো নিয়ে বিদেশি সংস্থা তদন্ত করছে : শামছুদ্দিন মানিক
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে আনীত ১১ অভিযোগের মধ্যে অধিকাংশ অভিযোগই দূর্নীতি, ঘুষ, নৈতিক স্থলনসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। একজন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এতগুলো অভিযোগ আসলে জাতির জন্যে এটা অত্যান্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন সাবেক বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সাবেক এই বিচারপতি জানান, ১১ অভিযোগের মধ্যে সাতটি সুনিদিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে আমার জানা আছে।
বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক এই প্রতিবেদককে জানান, যে সকল অভিযোগ বিষয়ে আমার জানা আছে তা হলো-আয়কর রিটার্নে সম্পদের বিবরণ সঠিকভাবে না দেওয়া, ৪ কোটি টাকার একটি লেনদেন, অস্ট্রেলিয়াতে তাঁর একটি একাউন্ট রয়েছে, কানাডাতে একটি একাউন্ট রয়েছে, সিঙ্গাপুরে তিনি অর্থ পাচার করেছেন। এই তিনটি একাউন্টে তিনি শত শত কোটি টাকা পাচার করেছেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতি কয়েকজন ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা নিয়েছেন। যেগুলোর তথ্য প্রমানাদিও রয়েছে। এসব ছাড়াও আরেকটি অভিযোগ হলো নৈতিক স্থ¦ুলন। নৈতিক স্থ¦ুলন এর বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, প্রধান বিচারপতি হয়ে তিনি সুপ্রিমকোর্টের একজন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ক্যালেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন। যার ভিডিওসহ প্রমানাদি রয়েছে।
শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, একজন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ উঠা এটা অত্যান্ত লজ্জার। এই পদটা একটা প্রতিষ্ঠান। এই পদে যিনি থাকবেন তাঁকে অবশ্যই ‘দোয়া তুলসী পাতা’ হতে হবে। সাবেক এই বিচারপতি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, উভয় বিভাগের বিচারপতিরা তাঁকে ঘৃণা করতে শূরু করছে। একটি উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৩ অক্টোবর অবকাশ শেষে সুপ্রিমকোর্ট যখন তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। তখন ৯০ ভাগ বিচারপতিই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে করমর্দন করতে চাননি। তারা বলেছেন, প্রধান বিচারপতি যদি তাঁদের করমর্দন অনুষ্ঠানে আসেন তবে তাঁরা কেউ ই ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না। অবশেষে প্রধান বিচারপতি ওই অনুষ্ঠানে যান ই নি। আর এভাবেই প্রধান বিচারপতির প্রতি অন্য বিচারপতিরা ঘৃণা দেখান।