ছাত্ররাজনীতিতে লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করতে হবে
রুহিন হোসেন প্রিন্স
ছাত্র রাজনীতিতে লেজুরবৃত্তি হলো একটা নেতিবাচক দিক। আরেকটা দিক আছে, বাম ধারাসহ অন্যান্য ছাত্র রাজনীতির ভালো দিকও কিন্তু আছে। ছাত্ররাজনীতির একটা দৈন্যতা তৈরি হয়েছে। তাই ছাত্ররাজনীতিতে লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করতে হবে। দেখা যায়, ক্ষমতায় যেই থাকুক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করে। আবার ক্ষমতায় না থাকলেও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদেরকে ব্যবহার করছে। তারা এটাকে একটা অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই অর্থ উপার্জনের জন্য আধিপত্য বিস্তারটা জরুরি। অনেক কলেজে ব্যাংকে টাকা নেয় না। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা কমিশন চান, তখন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, একটা দরখাস্ত করেন। এভাবে একটা পদ্ধতি বের করে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের সুবিধা দিয়ে থাকে। সারা বাংলাদেশেই এ অবস্থা। নানা উন্নয়ন ফি আছে। ধরুন, আপনি ক্ষমতাসীন দলের নেতা। আপনি বললেন, আমাকে আইন করে কিছু টাকা দেন। স্যার বললেন, দরখাস্ত করো। ছাত্রের আবেদন, এই এই ফি গরিব মানুষ মাফ করে দেন। এটা একটা ভদ্রোচিত টাকা আয়ের কথা বললাম। কোনো প্রতিষ্ঠানে সংসদ নির্বাচন নেই। দলের পদে থাকলে ক্ষমতা ব্যবহার করে টাকা আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। এটা শুধু ছাত্ররাজনীতিকে দোষ দিলে হবে না, টাকা না থাকলে বড় পদ পাওয়াও কঠিন।
যদি সংসদ থাকতো, তখন কি হতো দেখেন। আমাদের সময়ে এক ছাত্রনেতা ক্যান্টিনে ফাও খেতো, নির্বাচনে সে ফেল করলো। পরের বছর সে নিজেকে শুধরে নিলো। এবং সে নির্বাচিত হলো। দেখেন, সংসদ থাকলে কি পরিবর্তন হয়। আমি মনে করি, লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করতে পারলে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করতে পারলেই কেবল ছাত্ররাজনীতির অন্তর্দন্দ্ব বন্ধ করা সম্ভব।
পরিচিতি : সম্পাদক, সিপিবি
মতামত গ্রহণ : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ