মহাদেবের হালচাল
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আদর করে কেউ বলে স¤্রাট, আবার ভালবাসা ও শ্রদ্ধা থেকে কেউ বলে মহাদেব। চলাফেরা আর খাবার দাবারে মুন্সীয়ানা ভাব রয়েছে। তাই সকলের কাছে তার কদর। কেউ দিচ্ছে চাল, ডাল, আবার সাধ্যমত দিচ্ছে ফল। জনবহুল রাস্তা দিয়ে মানুষই যখন চলতে পারে না, অথচ ভোজন বিলাসী মহাদেব ঠিক সময়ই শহর অতিক্রম করছে তার রাস্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরের সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, তিতাস নদীর তীরে কাল ভৈরব নাট মন্দিরে তার জন্ম হয়। এরপর বেড়ে উঠে মন্দিরেই। প্রতি বছরের বিশেষ এক দিনে সনাতন ধর্মালম্বীরা পূজা করে তাকে। মাতৃভান্ডার দোকানের মালিক স্বদীপ চন্দ্র পাল জানান, গরুটির নাম মহাদেব। তার অবস্থান কালভৈরব বাড়িতে। প্রতিদিন একই সময় আমাদের এখানে আসে। খাওয়া-দাওয়া শেষে সময় মতে চলে যায়।
শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কেউ কেউ গরুটিকে স¤্রাট বা মহারাজ বলে। আবার হিন্দুরা একে ভক্তি করে প্রণাম করে মহাদেবের মত সম্মান করে। গরুটি দেখে আমরা আনন্দ পাই। মানুষের দোকানে দোকানে যায়। কারো কোনো ক্ষতি করে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কালভৈরব মন্দিরের পুরোহিত নারায়ণ চক্রবর্তী জানান, শিব চতুর্দশীর সময় এর জন্ম। এর বয়স এখন ৭ বছর। মন্দিরের প্রাঙ্গণেই বড় হতে থাকে। গরুটিকে বেঁধে রাখা যায় না। রাস্তায় চলাফেরা করে। মানুষ একে ভক্তি করে প্রণাম করে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান