সুষমা স্বরাজের সফরের ময়নাতদন্ত!
সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ভারতের যে নতুন অবস্থান প্রকাশ করেছেন তাতে আগের অবস্থানের তুলনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে হয়। যদিও তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর যে বর্বর নির্যাতন করছে সে বিষয়েও কোনো নিন্দাও তিনি জানাননি কিন্তু সমস্যাটা সমাধানের জন্য তিনি একটা তাগিদ দিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশের পক্ষ্য থেকে তার উপর কতখানি চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে তা আমি জানি না। এবং সেই চাপ তার উপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করেছে সেটাও এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতেই হবে, একথাটা একটু জোর দিয়েই বলেছেন। এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ভারতের আগের অবস্থান থেকে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এই কথা কী শুধু কথার কথা, নাকি তারা সমস্যাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে তা বোঝার জন্য আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এবং ভারতের পরবর্তী ভূমিকা, পদক্ষেপ কী হবে তা আমাদের দেখতে হবে। তাই এখনই এ বিষয়ে কিছুই বলা সম্ভব হবে নয়। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত কতটা আন্তরিক তা ভারত সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে। তবে ভারত সরকারকে বুঝতে হবে বাংলাদেশ তাদের পরিক্ষীত বন্ধু এবং বন্ধুত্বের জন্য যা যা করা প্রয়োজন বাংলাদেশ তার সবকিছুই করেছে। তাই আমরা আমাদের পরিক্ষীত বন্ধুর কাছ থেকে আরও বেশি সহমর্মিতা আশা করি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত সর্বাত্বকভাবে আমাদের পাশে থাকবে বাংলাদেশের মানুষ তাই আশা করে। সুষমা স্বরাজের এই সফর রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কতটুকু সহায়ক হবে তা আগামীতে বোঝা যাবে। এই আলোচনার পরে ভারত কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, মিয়ানমারকে কি ধরনের বার্তা দিবে এগুলো সব পরবর্তী বিষয়। বাংলাদেশ ভারতের কাছে এ ধরনের কোনো অনুরোধ করেছে কিনা তা আমরা জানি না। পররাষ্ট্রনীতি তো সবটা জানা সম্ভাব নয়। তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক পরিচিতি: সিনিয়র সাংবাদিক
মতামত গ্রহণ: লিয়ন মীর/সম্পাদনা: আশিক রহমান