মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের নির্বাচনে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের বিতর্কিত কোনো বিষয়ে না জড়িয়ে নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গা বিষয়ে ভারতের অবস্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আমরা রোহিঙ্গা বিষয়ে ধৈর্য ধরেছি। ভারতসহ সবাই আমাদের পাশেই থাকবে। আমরা এ বিষয়টি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করবো।
তিনি বলেন, আমরা কারো সঙ্গে সংঘাতে জড়াবো না। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করব। গতকাল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে নির্ধারিত আলোচনার সময় তিনি একথা জানান। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে একথা জানিয়েছেন।
কেবিনেট সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তোলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, বার্মিজরা রাবিশ। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য হতে পারে না। তাদের মধ্যে মানবতা নেই। অর্থমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কূটনৈতিকভাবেই সব সমস্যা মোকাবিলা করব। কারও সঙ্গে বৈরিতায় জড়াব না। আমরা ধৈর্য ধরে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি, এখনো করব। এ কারণেই আমরা জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেয়েছি। এভাবেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করব।
শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, বাড়াবাড়ি বা ঝগড়াঝাটি করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
জানা গেছে, সভায় মিয়ানমার সফরে গিয়ে এক লাখ টন চাল কেনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদকে অবহিত করছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করা কি ঠিক হচ্ছে? কারণ তারা ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ও বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে।
রোহিঙ্গা বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখন ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক খুবই খারাপ। কিন্তু তারপরও এর মধ্যেই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে। আমরা কারও উস্কানিতে পা দেব না। আমি যখন জাতিসংঘে ছিলাম, তখন মিয়ানমারের প্রতিনিধি নানাভাবে আমাকে উস্কানি দিয়েছে। আমরা বাড়াবাড়ি করিনি। আমরা বাড়াবাড়ি করলে সেখানে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো উগ্র আচরণ নয়, সহনশীল ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। তারা যদি উগ্র আচরণ করেও আমাদের সহনশীল হতে হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ