রোহিঙ্গা ইস্যুতে ত্রাণের চেয়ে ভারতের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ
ফাহিম ফয়সাল : ভারতের সঙ্গে গত ২-৩ বছর বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো চলছিল। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা মিয়ানমারের পাশে থাকবো। রোহিঙ্গা ইস্যুটা সামনে আসার পর আমাদের সম্পর্কটা প্রশ্নবোধক হয়ে দাড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য ভারত অনেক ত্রাণ পাঠাচ্ছে। ত্রাণের চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সমর্থনের ব্যাপারটা। ত্রাণ অনেক দেশ পাঠিয়েছে। রোববার সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জ্বল করিম, বাংলাভিশনের মধ্যরাতের সংবাদ পর্যালোচনা মূলক ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’ টকশোতে এসব কথা বলেন।
এটা সুস্পষ্ট যে রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুতদের মাতৃভ’মিতে ফেরার মধ্যেই সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। কফি আনান কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে আমাদেরও সমর্থন রয়েছে। সুষমা স্বরাজের এ বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এটাকে এখনি অগ্রগতি হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। তিনি যদি (সুষমা) বক্তব্যটা দিল্লিতে বলতেন, তাহলে ভালো হতো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী হবার পর ২০১৪ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন সুষমা স্বরাজ। বাংলাদেশে নির্বাচনের পর তার আগমনটা মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন জাগিয়েছিল। তার সফরটা বাংলাদেশ সরকারের জন্য ইতিবাচক ছিলো। তবে এখন তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছেন।
টকশোতে একুশে টিভির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সুষমা স্বরাজের সফরটি নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন সেক্টরে যে অর্জন, ভারত তা পর্যালোচনা করছে এবং সেখানে তারা অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করছেন। দীর্ঘদিন পর বিএনপির সঙ্গে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা বৈঠক করলেন। রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারে হিন্দুদের হত্যা করেছে। মিয়ানমার সরকারের এই প্রপাগান্ডাটা অন্য দেশে পাত্তা না পেলেও ভারতে পেয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক’টনীতিতে একটা আছে, আপনাকে প্রতিপক্ষ কি দিবে সেটা নির্ভর করে আপনার ক’টনৈতিক সম্পর্কের ওপর। অন্যদেশের কাছে কিছু চাইলে, সেটা অর্জন করার মতো সক্ষমতা নিজের আছে কিনা দেখতে হবে। নিরাপদ সড়কের জন্য কি করা উচিত এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী হচ্ছেন সড়ক পরিবহন নেতা। কোনো পরিবহন শ্রমিককে যখন তার অপকর্মের জন্য শাস্তির বিধান হয়, তখন শ্রমিককের পক্ষে মন্ত্রী মিছিল করেন। কিন্তু সড়কে যখন লাশের সারি থাকে তখন কোনো মন্ত্রী থাকেন না। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন করার জন্য তিনটা মৌলিক শর্ত আছে। ভোটার তালিকা, লেভেল প্লেইং ফিল্ড ও নির্বাচনের পর সকল দল ফলাফল মেনে নিবে। মোফাজ্জ্বল করিম বলেন- ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ, সেনাবাহিনী মোতায়েন বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু