আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রে জড়িত মমতা কুলকার্নি !
আবু সাইদ: বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি অনেকদিন ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। এত বছর পর আবারও খবরে এলেন এই নায়িকা। তবে কোন সিনেমার জন্য নয়। ভারতীয় গনমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ২ হাজার কোটি টাকার মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার স্বামী ভিকি গোস্বামীর উপরও পুলিশ ও এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি নজর রাখছে। পিটিআই
পুলিশের দাবি, কেনিয়ায় বসে মমতা ও তার স্বামী ভিকি দুজনে মিলে মাদক কারবার চালান বলে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের ২ হাজার কোটি টাকার মাদক পাচারের কারবার রয়েছে। এই মামলায় এপর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করেই মমতা ও তাঁর স্বামীর জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
ঠাণে পুলিশের তরফে পরমবীর সিংহ বলেছেন, নতুন পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মমতা কুলকার্নিকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আমরা তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করতে সিবি আইয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ পাঠাচ্ছি। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, তিনি কোথায় কী টাকা খাটাচ্ছেন, সেসব খতিয়ে দেখছি আমরা। তাঁর স্বামী ভিকি গোস্বামী ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হয়েছেন।
মমতা, ভিকির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বলিউডের আরও কিছু লোকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে থানে পুলিশ।
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সাড়ে ১৮ টন এফিড্রিন, আড়াই টন অ্যাসেটিক অ্যানহিড্রাইড বাজেয়াপ্ত করে তারা। দুটিই নিষিদ্ধ মাদক। তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, ভিকিই পুরো চক্রের মাথা। কেনিয়া পুলিশ তাঁকে একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল। এখন তিনি জামিনে বাইরে রয়েছেন। তাঁকে কেনিয়া থেকে শীঘ্রই প্রত্যর্পণের মাধ্যমে ভারতে নিয়ে আসা হবে। যদিও ভিকির অভিযোগ, তাঁকে তাদের হাতে তুলে দিতে ভারতকে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকার ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) তাঁকে অপহরণ করতে পারে, এই আশঙ্কায় ভারতে আসতে নারাজ ভিকি।
এমনকী মমতা তাঁর স্ত্রী, এ কথাও অস্বীকার করে ভিকির দাবি, মমতা স্রেফ তাঁর এক শুভানুধ্যায়ী। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ