যৌথ প্রযোজনার ছবি হলেও ডুবের ভাবমূর্তিটা বাংলাদেশের ছবিরই
যে কোন শিল্পর দর্শন নিয়েই বিতর্ক হতে পারে, হওয়টা প্রয়োজন। কোন একটি ছবির ভালো-মন্দের মতই আরেকটা বিষয়ও ভাবা জরুরি, সেটা হলো চলচ্চিত্রের বাজার, এর রাজনৈতিক অর্থনীতি। ইতিবাচক হলো এইটুকু যে, বাংলা ছবি দর্শক টানছে। তবে নতুন পর্যায়ের এটা সূচনা মাত্র, এখনো পর্যন্ত বাজারের আগ্রহ জাগানো চলচ্চিত্রগুলোর প্রধান দর্শক মধ্যবিত্ত আর্থিক দিক দিয়ে এটা বাজারকে সামান্য কিছুদূর বিস্তৃত করবে। প্রয়োজন ৭০ ও ৮০ দশকের মত আমজনতাকে টেনে আনতে পেরেও রুচিকে ধরে রাখে এমন চলচ্চিত্রেরও বিকাশ।
৯০ দশকে যারা চলচ্চিত্র নিয়ে বহু ভেবেছেন, তারা পরীক্ষায় তাই এক বিবেচনায় ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হযেছেন। তাদের পথ ধরে নতুনতরা আরও অগ্রসর হবেন, এই আশা করাই যায়। চলচ্চিত্র যুগমানসকে নির্মাণ বেশ খানিকটা নিশ্চয়ই করে, তবে সময়ের প্রতিফলন হিসেবে তার যথাযথতা হয়তো আরও বেশি। বিনোদনের বাজারটি বেদখল থাকার বিপদ একাধারে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক। অন্যদিকে বিনোদনের বাজার আটকে রাখার চেয়েও বহুগুন কার্যকর হবে বাজারে নিজেদের পণ্য আসার পরিবেশ তৈরি করা। যৌথ প্রযোজনার ছবি হলেও ডুবের ভাবমূর্তিটা বাংলাদেশের ছবিরই।
লেখক : কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন
ফেসবুক থেকে