দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিয়ে নতুন নীতির কথা জানান দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
ইমরুল শাহেদ : উত্তর এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিবর্গ যখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিরাচরিত বাণিজ্যিক অংশিদারিত্ব কমিয়ে আনার কথা ভাবছে ঠিক তখনই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন বৃহস্পতিবার তার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া নীতি প্রকাশ করছেন। এই নীতিতে তিনি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার কথাই বলেছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ ইন্দোনেশিয়া। বর্তমানে তিনি ২০০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নিয়ে দেশটি সফর করছেন। এই অঞ্চলে এটাই তার প্রথম সফর। তার নতুন দক্ষিণাঞ্চলীয় নীতির মূল লক্ষ্য হলো আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা। একইসঙ্গে এতদাঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়াকে চতুর্থ বৃহৎ শক্তিতে পরিণত করা, যা ৫০ মিলিয়ন লোকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াকে বিস্তার করবে। তিনি ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ফোরামে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ‘জাপান, চীন এবং রাশিয়ার চাইতে এশিয়ার মধ্যে কোরিয়ার কূটনৈতিক সংযোগ অনেক বেশি। কিন্তু আমি এই কূটনীতিকে আরও বিস্তার করতে চাই। সেজন্য ইন্দোনেশিয়া হলো আমার জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র।’ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ব্লু হাউজ থেকে বলা হয়েছে, মুনের নতুন নীতি হলো চীন, জাপান, রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইস্ট ইকোনোমিক ফোরামে তিনি এ ব্যাপারটি বিস্তারিত জানান দেবেন।
ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রী এয়ারলেঙ্গা হার্তাতো বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে লাইট রেইল ট্রানজিট (এলআরটি) পদ্ধতি উন্নয়নে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়নহ্যাপ জানিয়েছে, জাকার্তার সঙ্গে এই প্রকল্পটি এমওইউ-এর জন্য ২.৬ বিলিয়ন ডলারের স্বাক্ষর হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের একটি মাত্র।
গত এক বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন নিয়ে সিউল ও বেইজিংয়ের মধ্যে কুটনৈতিক পর্যায়ে আলাপ আলোচনা চলে আসছে। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোর উপর চীনা খদ্দেরদের আস্থা বাড়িয়েছে। সিউল এক্ষেত্রে বহুমাত্রিক সম্পর্কের জন্য তাড়া অনুভব করছে। সূত্র : স্ট্রেইট টাইমস