৬৭ বছর পর উন্নয়নের ছোঁয়া কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ী গ্রামে
অনিরুদ্ধ রেজা, কুড়িগ্রাম : ছিটমহল না হলেও ছিট মহলের মতই ভারতের সঙ্গে সীমানা জটিলতায় দীর্ঘ ৬৭ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী গ্রামের মানুষ। বাংলাদেশি ভূখ- হলেও ভারত সরকারের দাবির কারণে ছিটবাসীদের মতো জীবন কাটাতে হয়েছে এ গ্রামের ৬ শতাধিক মানুষকে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা গ্রাম বড়াইবাড়ী। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর থেকেই এই গ্রামের ২শ ২৬ একর জমি ভারত সরকার তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছিল। ২০১৫ সালের ১ আগস্ট ভারত-বাংলাদেশ ছিট বিনিময়ের সময় বড়াইবাড়ী গ্রামটি বাংলাদেশের অংশ বলে স্বীকৃতি দেয় ভারত সরকার। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে বড়াইবাড়ীসহ সীমান্তবর্তী পাঁচ গ্রামের ৬শ ৪৯ জন মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে শুরু হয়েছে। এরমধ্যে দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১.৭৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। চলছে দুই কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ধরণী নদীর উপর ৬৬ মিটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ।
সম্প্রতি বড়াইবাড়ী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন জানান, ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী এলাকার ২২৬ একর জমি বাংলাদেশ পাওয়ার মধ্যে দিয়ে এখানকার মানুষের বিজয় হয়েছে। দীর্ঘদিনের বঞ্চনার ইতিহাসের পরিসমাপ্তি পর শুরু হয়েছে ভাগ্যোন্নয়ন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান