এখনো উদ্ধার করা যায়নি হাতিটি
জামালপুর প্রতিনিধি : ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও হাতিটিকে উদ্ধার করতে পারেনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ দল। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় তারা হাতি উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন।
এদিকে, হাতিটি বর্তমানে যমুনার শাখা নদী পার হয়ে ধারাভাষ্য চরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রধান অসীম মল্লিক হাতি উদ্ধার অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগমের কারণে হাতিটিকে ডাঙায় তোলা সম্ভব হচ্ছে না। অচেতনও করা যাচ্ছে না, তাই উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছে না। ৩ সদস্যের ভারতীয় দলের প্রধান রিতেশ ভট্টাচার্য বলেন, হাতিটির ওজন প্রায় ১৫ টন। এই বিশাল ওজনের হাতিটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিবহনের ব্যবস্থা নেই। এছাড়া হাতিটিকে পানির মধ্যে অচেতন করাও যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
এদিকে, হাতিটি উদ্ধার করতে না পারায় ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভারতের আসাম থেকে আসা প্রতিনিধিদলের ৩ বন কর্মকর্তা হলেনÑ রিতেশ ভট্টাচার্য, কৌশিক বাড়ই ও এসএস তালুকদার। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অসীম মল্লিক।
বন্য হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন চর ঘুরে ২৭ জুলাই জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আসে। সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ