আওয়ামী লীগকে কেন মানুষ ভোট দিবে
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল । গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও উন্নয়ন, অগ্রগতিতে এগিয়ে চলা একটি অসাম্প্রদায়িক এবং সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। জঙ্গীবাদ থেকে বাংলাদেশকে দূরে রাখাসহ এই যে মহৎ কাজগুলো তিনি করেছেন আবার যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এই কাজগুলো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের শত্রুরা চায় না ডেভেলপমেন্ট, নির্বাচনের কোনো বালাই নেই, অপশক্তি আসলে টোটাল অর্জনটা বিলীন হয়ে যাক, এটা চায়। বাংলাদেশ এখনো আসলে স্ট্রাগল পর্যায়ে আছে। তাই উন্নয়নের ভাবমূর্তিকে অক্ষুন্ন রাখতে এবং সেটাকে আরও মজবুত করতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা দরকার। আমাদের মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। দারিদ্র্যতা কমেছে। মানুষ অনাহারে নেই। দূর্ভিক্ষ নেই। মঙ্গা নেই। সুতরাং বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী নির্বাচনে লোকে আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাকে টাইটেল দিয়েছে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’। তিনি মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশে যত ইসলামিক দল রয়েছে, তারা একাত্ম হয়েছে। তারা কথা বলতে পারছে না সরকারের বিপক্ষে। সেরা মুসলমান শেখ হাসিনা। শ্রেষ্ঠ মুসলমান। পাকিস্তানের মতো মুসলিম দেশ সেখানে নিরব। খালেদা জিয়ার কণ্ঠও ক্ষীণ। বিদেশি রাষ্ট্রদূত ডেকে বৈঠক করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা করে নি। এর মধ্যে মেসেজ আছে যে, তারা মুখে যাই বলুক অন্তরে কি চায়? অন্তরের কথা হলো শেখ হাসিনার গভর্নমেন্ট কিছু করুক তারা তা চায় না। তারা যে কথাগুলো বলছে সেগুলো শেখ হাসিনা আরও বেশি বলেছেন। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শ্রেষ্ঠ ভাষণ । এই ভাষণে গ্লোবাল কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আমেরিকা, ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ সব দেশ ঐক্যবদ্ধ। ভারতের সুষমা স্বরাজ স্পষ্ট কথা বলেছেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদেরকে ফিরিয়ে নিতেই হবে। চীন মনে করে, বাংলাদেশ মিয়ানমার দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় সমাধান হবে। সমাধানের বিশ্বমানের অবস্থা তারা দেখতে পাচ্ছেন। এদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত তিনিও বলেছেন যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। রাশিয়াও বলছে। সারা পৃথিবী একাত্ম হয়েছে। কূটনীতি আস্তে আস্তে ডেভেলপ করতে করতে একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা রোহিঙ্গাদেরকে একটা সেফ জোনে রেখেছি। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ হচ্ছে খুব সুষ্ঠুভাবে। সেনাবাহিনী তার কাজ করে যাচ্ছে। এখন আর কারো মুখে কথা নেই। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করব ইনশায়াল্লাহ।
পরিচিতি : সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংরাদেশ আওয়ামী লীগ
মতামত গ্রহণ : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ