আল্লাহ জুলুম পছন্দ করেন না
মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : জুলুম-নির্যাতন নিপীড়ন মানুষ যেমন পছন্দ করে না আল্লাহও অত্যন্ত অপছন্দ করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন:- তোমাদের মধ্যে একটি দল থাকা উচিত, যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভালো কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম। (সূরা আল ইমরান : ১০৪)।
আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের আদেশ দেয়, মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে। (সূরা আত-তাওবাহ : ৭১)
তোমরাই (হচ্ছো দুনিয়ার) সর্বোত্তম জাতি, সমস্ত মানবজাতির (কল্যাণের) জন্যই তোমাদের বের করে আনা হয়েছে, (তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে) তোমরা দুনিয়ার মানুষদের সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে আর তোমরা নিজেরাও আল্লাহর ওপর (পুরোপুরি) ইমান আনবে। (সূরা আল ইমরান-১১০) স্মরণ করো, যখন লুকমান উপদেশচ্ছলে স্বীয় পুত্রকে বলেছিল, হে আমার ছেলে! আল্লাহর সাথে কোনো শরিক স্থাপন কোরো না। নিশ্চয়ই শিরক অতি বড় ধরনের জুলুমই বটে (সূরা লুকমান-১৩)
আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তদনুযায়ী যারা বিচার-ফয়সালা করে না তারাই জালিম (সূরা মায়িদা-৪৫)
হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষের অপর কোনো পুরুষকে উপহাস করা উচিত নয়। কেননা যাকে উপহাস করা হলো সে তাদের থেকে উত্তমও হতে পারে এবং কোনো নারীর অপর কোনো নারীকেও উপহাস করা উচিত নয়। কেননা যাকে উপহাস করা হলো সে উপহাসকারীনী থেকে উত্তমও হতে পারে। তোমরা তোমাদের একে অপরের প্রতি দোষারোপ করবে না এবং তোমাদের কাউকে মন্দ নামে ডাকবে না। ঈমান গ্রহণের পর মন্দ নামে ডাকা বড় পাপের কাজ। যারা এর থেকে ফিরে থাকবে না তারাই তো জালিম (সূরা হুজরাত : ১১) সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন