প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভিযোগে এনআইডি বাণিজ্যে কঠোর অবস্থানে ইসি
সাইদ রিপন : অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অভিযোগ ও সুপারিশ পাওয়ার পর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনীতে আর্থিক বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সতর্ক করে এবং দুর্নীতির সাথে কেউ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। গত ১৩ নভেম্বর এ সংক্রান্ত মাঠ কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে এনআইডি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, দালাল চক্রের সম্পৃক্ততার সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেবা প্রার্থীদের যথাযথ প্রমাণপত্র থাকা সত্ত্বেও যথাযথ সেবা না দিয়ে নানা ধরনের কৌশল নেওয়া হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ, নানা অনিয়ম, ছল-চাতুরী, অন্যের নাম ভাঙানো ইত্যাদি অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে। চিঠিতে বলা হয়, সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে এবং তা সমাধানের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ অবস্থায় কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা অন্য কারো বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, সেবা প্রার্থীকে হয়রানি বা সেবা প্রদানে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ইত্যাদি প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণকে সামনে রেখে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধন আবেদন আহ্বান করেছে ইসি।
এ বিষয়ে এনআইডি উইংয়ের তথ্য কর্মকর্তা জানান, নাগরিকদের নির্ভুল স্মার্টকার্ড নিশ্চিত করতেই উপজেলা পর্যায়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধনের আবেদন করতে বলা হয়েছে। এজন্য ২০ নভেম্বর থেকে মাঠপর্যায়ে প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের ১০ কোটি ১৮ লাখেরও বেশি নাগরিক ভোটার আছে। আগামী জানুয়ারিতে হালনাগাদে মৃত ১৩ লাখেরও বেশি ভোটার বিদ্যমান তালিকা থেকে বাদ যাবে, পাশাপাশি যোগ হচ্ছে আরও অন্তত ৩৫ লাখ নতুন ভোটার। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ