জার্মানি থেকে ব্রাজিলে বাংলাদেশ
এল আর বাদল : বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ক্রীড়াবিদ গলফার সিদ্দিকুর রহমান যোগ্যতা অর্জন করে সরাসরি ব্রাজিলের রিও অলিম্পিকে খেলার। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদের সংখ্যাও পূর্বের যে কোনো অলিম্পিক আসরকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সাতজন অংশগ্রহণ করছেন এবার, আগের সর্বোচ্চ ছয়জন। তবে অঙ্কের হিসাবে ক্রীড়াবিদের সংখ্যা বাড়লেও, লক্ষ্য সে আগের মতোই ‘অভিজ্ঞতা অর্জন’। রিও দিয়ে অলিম্পিকের ইতিহাসে মোট এগারবার প্রতিনিধিত্ব করেছে বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যে প্রথম দু’আসরে কোনো ক্রীড়াবিদ পাঠানো হয়নি বাংলাদেশ থেকে।
১৯৭২ সালে জার্মানির মিউনিখ অলিম্পিক দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের অলিম্পিক যাত্রা। তবে কোনো ক্রীড়াবিদ নেই, পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তৎকালীন ক্রীড়ান্নয়ন বোর্ডের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান। চার বছর পর মন্ট্রিল অলিম্পিকেও কোনো ক্রীড়াবিদ ছিলেন না, তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল যোগ দেয়। পরের আসরে ১৯৮০ অলিম্পিকে তো বাংলাদেশ অংশগ্রহণই করেনি। এর পর থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের জন্য এক নবযুগের সূচনা।
বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে আছে ১৯৮৪ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক। ওই আসরে প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন দ্রুততম মানব সাইদুর রহমান ডন।
বাংলাদেশের পতাকাও বহন করেছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন ছয়জন ক্রীড়াবিদ। ছয় থেকে দুই কমে চারজন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৯৯২ বার্সেলোনা অলিম্পিকে। ১৯৯৬ সালে আটলান্টায় শতবর্ষী অলিম্পিকেও পাঠানো হয় চারজন ক্রীড়াবিদ। ১৯৮৮ সালের মতো ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকেও ছয়জন খেলোয়াড় পাঠানো হয়েছিল। আবার ২০০৪ অ্যাথেন্সের আসরেই নেমে আসে পাঁচে। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন ছয়জন।
শেষ ২০১২ লন্ডন অলম্পিকে ক্রীড়াবিদের সংখ্যা ছিল পাঁচ। সব আসরকে ছাড়িয়ে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করছেন সর্বাধিক সাত ক্রীড়াবিদ।