রাজধানীতে সহপাঠীর হাতে মাদ্রাসা ছাত্র খুন
সুজন কৈরী : রাজধানীর গুলিস্তানের মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভেতর থেকে মো. জিদান (১১) নামের এক ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর ৪ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ছাত্র ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। জিদান ওই মাদ্রাসায়ই থাকতো।
এদিকে এ হত্যাকা-ে জিদানের সহপাঠী আবু বকর জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ ওই শিক্ষার্থী পলাতক রয়েছে। পুলিশ হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলছে, মুখ বেঁধে হত্যার পর জিদানের লাশ কোলে করে ম্যানহোলে ফেলে মাদ্রাসার গেটের পাশের বেড়া ছিঁড়ে পালিয়ে যায় আবু বকর।
মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আবু বকর এক বছর আগে হাফেজ হয়েছে। শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ পারা কোরআন পড়ে শোনানোর পর মাদ্রাসা ছাড়ার কথা ছিল তার। সেই মাদ্রাসার সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষার্থী। এ কারণে সে অন্য শিক্ষার্থীদের নেতা ছিল। গত কোরবানি ঈদের ছুটি শেষে মাদ্রাসায় ফেরার পর আবু বকরের সঙ্গে নানা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিত-া হতো জিদানের। পরে এই ঝগড়া হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। শিক্ষকরা তাদের বিষয়টি সুরাহাও করেছিলেন।
পল্টন থানার ওসি মো. মাহমুদুল হক বলেন, এ ঘটনার মূল হোতা আবু বক্কর নামেই আমরা জেনেছি। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে খুঁজতে অভিযান চলছে। ধারণা করা হচ্ছে ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ দ্বন্দ্বে এই হত্যাকা-। সম্প্রতি জিদান ও আবু বক্করের সঙ্গে একটি ঘটনা নিয়ে বকরকে শাসন করেছিলেন শিক্ষকরা। এ থেকেই হয়তো সে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু