দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে
দুদকের চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা বড় বড় দুর্নীতিবাজদের কাছে যেতে পারিনি। এই কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, তিনি বলেছিলেন, আমাদের সাহস আছে, আমরা শুরু করলে থামব না। এখন কথা হচ্ছে, যেখানে দুদকের চেয়ারম্যান বলেছেন বড় দুর্নীতিবাজদের কাছে যেতে পারেনি। তিনি যেতে পারেননি মানে? তাকে ঐ পর্যন্ত যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ঐসব দুর্নীতিবাজদের কাছে যেতে যারা বাধা সৃষ্টি করে, তারা অবশ্যই শাসকশ্রেণির। এমপি, মন্ত্রীরাইতো এখনকার শাসকশ্রেণি। এরাই সেই শাসন ক্ষমতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে যারা এমপি নির্বাচনের জন্য তথ্য দিচ্ছে, তাদের তথ্যের সঙ্গে অসংগতি পাওয়া গেলে যে আইনটা করা দরকার, সেটা হলো, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা। এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। এই আনইটি প্রণয়ন করা ছাড়া তাদেরকে সেভাবে আটকিয়ে রাখা যাবে না। আমরা এটা আগেও দাবি করেছি যে, যেহেতু আমাদের সংবিধানে আছে অনুপার্জিত আয় ভোগ করা যাবে না। ফলে কোনো সম্পদের হিসাব যদি কেউ দিতে না পারে অথবা সে যদি মিথ্যা তথ্য দেয় এবং সেটা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত করতে হবে। এই আইনটি অবশ্যই করা দরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কথা অনুসারে, বড় দুর্নীতিবাজরা ক্ষমতাশালী। কারণ, ক্ষমতাসীন হওয়া ছাড়া ক্ষমতাশালী হতে পারে না। ফলে এই পরিস্থিতিতে, অনুপার্জিত আয় যাদের কাছে আছে, যারা বর্তমানে এমপি, মন্ত্রী আছেন, যারা পূর্বে এমপি, মন্ত্রী ছিলেন, সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সম্পদের হিসেব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সে জায়গায় যদি তারা হিসেব দিতে না পারে, তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। যারাই নির্বাচনের প্রার্থী হতে চাইবে, সবার ক্ষেত্রেই এই আইনটি প্রযোজ্য হওয়া দরকার।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ