ঋণ খেলাপী নিয়ে মহা বিপাকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো
অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ
ঋণ খেলাপী আসলে আমাদের জন্য খুবই দুঃশ্চিন্তার বিষয়। এ পর্যন্ত হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপী হয়ে গেছে এবং প্রতিদিনই কোটি কোটি টাকা ঋণ খেলাপী হচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যতটুকু পাওয়ার আছে, সেটা তারা এ্যাপ্লাই করছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর যতটুকু পাওয়ার আছে তার পুরোটাই ব্যবহার করা উচিত। ঋণ খেলাপীর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় সরকারি ব্যাংকগুলোকে জড়িত থাকতে দেখা যায়। এখানে বিভিন্ন রকমের অনিয়ম হয়ে থাকে। সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ থেকে শুরু করে ঋণ দেওয়া পর্যন্ত যে কোনো কার্যকলাপে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়ে থাকে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। সকল বোর্ড ভেঙে নতুন করে যোগ্য লোক নিয়ে বোর্ড তৈরি করতে হবে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, বোর্ড মেম্বার করা হবে, তাদের দু-তিন মাস সময় দিয়ে নিয়োগ দেওয়া উচিত। এই সময়ের মধ্যে ভাল পারফর্ম না করতে পারলে তাদের বাদ দিয়ে দিতে হবে। ব্যাংক বোর্ড নিয়োগের ক্ষেত্রে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এগুলো করতে দিলে মানা হবে না।
তাদেরকে বলতে হবে, এসব কোনো কাজ করা যাবে না। আবার অনেক সময় দুর্নীতিবাজরা এ ধরনের কথা বলে থাকে। যারা দুর্নীতি করে তারা তাদের দায়টা এড়িয়ে যাবার জন্য অনেক সময় রাজনৈতিক প্রভাব, দলীয় প্রভাব এসব কথা বলে থাকে। রাজনৈতিক প্রভাব থাকতেও পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যারা দুর্নীতি করে, তারা এ ধরণের অজুহাত দেখায়। দুর্নীতিবাজরা বলে থাকে ওপরের চাপ আছে। এসব কথা বলে তারা দায় এড়াতে চায়। এগুলোতো জনগণের টাকা। ঋণ খেলাপীসহ ব্যাংকিং খাতে সকল দুর্নীতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংককেই দায়িত্ব নিতে হবে। এগুলো একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ : সাগর গনি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ