ইসির শর্ত পূরণে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই সময় চায়
সাইদ রিপন : নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপাসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। গত ১ নভেম্বর নিবন্ধিত দলগুলোকে গঠনতন্ত্র অনুসরণে নির্বাচন, তৃণমূলের অফিস ও কমিটি, ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব, পেশাজীবি সহযোগী সংগঠনের সম্পৃক্ততা বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসি। প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষদিন ছিল গত মঙ্গলবার। কিন্তু কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলেও বেশিরভাগ দলই ১৫ থেকে এক মাস সময় চেয়েছে। আর মঙ্গলবার পর্যন্ত মাত্র ১৮টি দল ইসিতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
শর্তানুযায়ী ছাত্র, পেশাজীবী ও প্রবাসী শাখার সঙ্গে কাগজ-কলমে মূল দলের কোনো সম্পর্ক রাখেনি রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু ছাত্র সংগঠনের কমিটি অনুমোদন করছেন দলের প্রধান। তাছাড়া প্রবাসী শাখা বহাল রয়েছে, শিক্ষকসহ পেশাজীবী সংগঠনগুলোও চলছে মূল দলের নির্দেশনায়। এ অবস্থায় দলগুলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-এর নিবন্ধন বিধিমালার শর্ত পালন করছে কিনা তার তদারকি করছে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালুর পর এ পর্যন্ত আরপিও অনুসরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দলগুলোর মধ্যে তেমন বড় কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
এদিকে এটিএম শামসুল হুদা ও কাজী রকিব উদ্দিন কমিশন বরাবরই বলে এসেছে, অভিযোগ পেলেই তা খতিয়ে দেখা হবে। আর নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন- আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল প্রতিবেদন জমা দিতে সময় চেয়েছে। আমরা ১৫ দিন সময় দিয়েছি। ইতোমধ্যে কিছু দল প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, অর্ধেকের বেশি দল জমা দেয়নি। যারা আবেদন করেছে তাদের ফের সময় দেব, যারা আবেদনই করেনি তাদের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
নির্দিষ্ট কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে সচিব বলেন, সবকিছু একদিনেই সম্ভব হবে না, সময়ও দিতে হবে। তবে যারা শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে তাদেরকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ