আর কতদিন হল্টেড হবে ‘জেড’ ক্যাটাগরি?
অর্থনৈতিক ডেস্ক : পুঁজিবাজারের দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রতিদিনই দুর্বল কোম্পানিগুলোর জয়জয়কার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিয়মিতভাবে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসছে এসকল কোম্পানির নাম। দুর্বল কোম্পানিই হল্টেড হবে এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে পুঁজিবাজারের। কিন্তু এটাই যদি নিয়ম হয় তবে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। অর্থসূচক
গত বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর বৃদ্ধির শীর্ষে যেসকল কোম্পানির নাম উঠে এসেছে তার বেশির ভাগই জেড ক্যাটাগরির। আর যেসব কোম্পানি এ ও বি ক্যাটাগরিতে রয়েছে সেগুলো দু-একটা বাদে সবই স্বল্পমূলধনী কোম্পানি। জেড ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- দুলামিয়া কটন, বিডি ওয়েল্ডিং, ইমাম বাটন এবং আইসিবি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড। বি ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- ফাইন ফুডস এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বাকি চারটি রয়েছে এ ক্যাটাগরিতে। এ বিষয়ে কথা বললে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, কে কোন কোম্পানির শেয়ার কিনবে তা নিয়ে কাউকে ফোর্স করার ক্ষমতা নেই কারোরই। কেউ দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে থাকলে সেটি ব্যক্তিগত ইচ্ছায় করে। তবে যে কারণেই করুক না কেন অনেকদিন ধরেই দুর্বল কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এর পেছনে কোনো কারণ রয়েছে কী’না তা খতিয়ে দেখা দরকার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।
কেননা এ সকল দুর্বল কোম্পানি থেকে প্রতারিত হলে এইসকল বিনিয়োগকারীরাই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দোষ দিতে শুরু করবেন। কিছু যদি করার থাকে এসইসিই করতে পারে। অন্য কারো কিছু করার নেই এখানে। উল্লেখ, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক ভাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে জেড ক্যাটাগরির প্রাধান্য দেখা গেছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম