এসএসসির ফরম পূরণে বাড়তি আদায় ৩০০ কোটি টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে এবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি অন্তত ৩শ’ কোটি টাকা আদায় করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষা বোর্ডগুলো সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও আদায় করা হয়েছে পাঁচ গুণ পর্যন্ত অর্থ। বাড়তি অর্থ আদায়ের ওপর উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। শিক্ষা বোর্ডগুলো একটি নোটিশ জারি করেই দায়িত্ব শেষ করছে। যুগান্তর অনলাইন
অনুসন্ধানে সারা দেশেই এমন চিত্র পাওয়া যায়। কোচিং ফি, হোস্টেল, ভবন সংস্কার, শিক্ষাসামগ্রী ক্রয়, উন্নয়ন, আপ্যায়ন, সাপ্তাহিক পরীক্ষাসহ নানা খাত সৃষ্টি করে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চালাকির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। কোথাও রসিদ দেয়া হচ্ছে, কোথাও দেয়া হচ্ছে না। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নোটিশ দিয়ে, কেউ আবার নোটিশ না দিয়েই বাড়তি অর্থ আদায় করছে। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে গড়ে ২ হাজার করে বেশি নিলেও অন্তত ৩০০ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সূত্র বলছে, অর্থ আদায়ে টেস্ট পরীক্ষার ফলকে ফাঁদ হিসেবে পাতা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান টেস্টের ফল প্রকাশ না করেই কে কত বিষয়ে ফেল করেছে সেই হারে বাড়তি অর্থ আদায় করছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ভূমিকা রয়েছে। ঢাকার বাইরে শিক্ষক সমিতিও ফরম পূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করে বাড়তি অর্থ আদায়ের লাইসেন্স দিচ্ছে। এ নিয়ে যশোর ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এই বাড়তি অর্থের সংস্থানে অভিভাবকদের চড়া সুদে ঋণ নেয়া, মায়ের গহনা এবং জমি বন্ধকের ঘটনাও ঘটেছে। সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অভিভাবকরা এ নিয়ে নিশ্চুপ।
পরীক্ষা সংক্রান্ত আন্তঃবোর্ডের উপকমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালনকারী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি’র বেশি নেয়া যাবে না। আদালতেরও নির্দেশনা আছে। বেশি ফি নেয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ করেনি। লিখিত অভিযোগ না পেলে ব্যবস্থা নিতে পারি না। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম