পিলখানা হত্যাকা-ের বিচার আগামী এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে
এনামুল হক: পিলখানা হত্যাকা-ের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে আরো এক বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, এটা ঐতিহাসিক ঘটনা। এ বিচারের মধ্য দিয়ে একটি জঘন্য হত্যাকা-ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। টিভিএনএ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। ব্যারিস্টার শফিক বলেন, নিম্ন আদালতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত একজন বিচারক উভয় পক্ষের সাক্ষ্য শুনে রায় দিয়েছেন। এরপর আপিলে হাইকোর্ট বিভাগের ৩ জন সিনিয়র বিচারপতি তাদের যুক্তি-তর্ক শুনেছেন। প্রত্যেক আসামিকে নিজের পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারপর রায় দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে এ বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, এত সেনা কর্মকর্তাকে বিনা কারণে একসঙ্গে হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র ছিল। এটা যে শুধু ডাল-ভাতের জন্য হয়েছে বিষয়টি তা নয়। এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। গোয়েন্দা সংস্থা এত বড় ঘটনা ঘটার আগে কেন জানতে পারল নাÑ এটি একটি বড় প্রশ্ন। কেন এত বড় হত্যাকা- সংঘটিত হলো এর তদন্ত হওয়া দরকার। বিচার কাজ যখন চলছিল তখন আমরা প্রসিকিউশনের জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছি এবং দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তাকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা দক্ষতার সঙ্গে তদন্তকার্য পরিচালনা করেছেন এবং বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সেনাবাহিনী চেয়েছিল পিলখানা হত্যার বিচার আর্মি অ্যক্টে করতে। এটা তাদের দাবি ছিল। তখন আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বলেছি, এটা পরে হাইকোর্ট স্থগিত করে দেবে। কারণ যখন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, এর পর আইন করে বিচার করা যায় না। এর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে অনেক বৈঠক হয়। পরে সিদ্ধান্ত হলÑ এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের মতামত নিতে পারেন, কোন আইনে বিচার হবে। এতে রাজি হলেন বিডিআর প্রধান এবং সেনাবাহিনী। তখন এটর্নি জেনারেলকে ডেকে আমি পরামর্শ দিলাম যে, একটা পিটিশন ফাইল করতে। তিনি পিটিশন ফাইল করলেন। আপিল বিভাগ ৭ দিন শুনলেন এবং সিনিয়র আইনজীবীদের মতামত নিলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয় খুন এবং অন্য জঘন্য অপরাধগুলোর বিচার হবে দ্রুত বিচার আইনে। আর বিদ্রোহের বিচার হবে বিডিআর আইনে। এটি পরে কার্যকর হয়েছে। সূত্র : টেলিভিশন নিউজ এজেন্সি (টিভিএনএ)