বাংলাদেশে চালের দাম ৪০ টাকা কেজি করা সম্ভব
হায়দার আকবর খান রনো
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চাল আমদানী করে চালের দাম ৪০ টাকা করবেন। বাংলাদেশে চালের দাম ৪০ টাকা কেজি করা সম্ভব। এবছর ধানের উৎপাদন সিলেটের বন্যার কারণে কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে, সেটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে বাইরে থেকে আমদানি করে নয়, আমাদের দেশে যে সিন্ডিকেটগুলো আছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কৃষকের কাছে যখন ধান, চাল থাকে, তখন দাম কম থাকে। তাদের থেকে কম দামে কিনে সি-িকেট ব্যবসায়িগুলো চালের দামটি বৃদ্ধি করে ফেলে। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শুধু বিদেশ থেকে চাল আমদানী করলে হবে না। এখনও মোটা চাল ৫০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। এটার কারণ বিরাট একটি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী। কিন্তু কৃষকরা ঠিকই হায় হুতাশ করছে।
তারা খরচ অনুযায়ী চালের দাম পাচ্ছে না। এটা একটা কারণ, দাম না পাওয়ার কারণে অনেক কৃষক ধান উৎপাদন করতে চায় না। তাদের উৎপাদন খরচও কমাতে হবে। শুধু চাল নয়, এই দেশে সব পণ্যেরই এরকম ভাবে সি-িকেটের কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশ থেকে চাউল নিয়ে আসবেন আবার সিন্ডিকেট ব্যবসায়িগুলোর হাতে পড়বে। তাহলে লাভ কি হবে? চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অবশ্যই এসব মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরা সরকারদলীয় হউক আর অন্য দলের হউক। এটা সাধারণ হিসাব, এখানে কোনো বড় অর্থনীতির ব্যাপার নেই। খুব সহজে চালের দামটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সাথে অন্যান্য যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আছে সেগুলোর দামও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পরিচিতি : সভাপতিম-লীর সদস্য, সিপিবি
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ