বিব্রতকর অবস্থার পরিসমাপ্তি হলো Ñমাহবুবে আলম
এস এম নূর মোহাম্মদ : অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি আগ্রহ ছিল গেজেট এত দেরি হচ্ছে দেখে। আর বারবার আমাকে সময় নিতে হয়েছে। সেটা আমার জন্য নিশ্চয়ই বিব্রতকর ছিল। তবে গেজেট হওয়ায় আমার সেই বিব্রতকর অবস্থার পরিসমাপ্তি হলো। গেজেট হওয়ায় ভারমুক্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই। যেহেতু শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মাঝখানে আমাকেই অবস্থান নিতে হয়। যাকে বলে সেতুবন্ধন। গতকাল নিজ কার্যালয়ে গেজেট নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এছাড়া আজ আদালতে এই গেজেট দাখিল করার কথাও জানান মাহবুবে আলম।
আগের খসড়া এবং এখনকার গেজেটের মধ্যে মূল তফাতটা কি ছিল জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মূল তফাতটা ছিল সাবেক প্রধান বিচারপতি যেটা চেয়েছিল, আমি যতদূর বুঝতে পেরেছি। সেটা হলো সমস্ত ক্ষমতাটা সুপ্রিম কোর্টের হাতেই থাকবে। সেটা তো সংবিধানবিরোধী একটা অবস্থান। সংবিধানে আছে রাষ্ট্রপতি করবেন কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে করবেন। ১১৬ যে পর্যন্ত সংবিধানে আছে, সে অবস্থায়তো সর্বময় ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে দিয়ে দেওয়া যায় না।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। রাষ্ট্রপতি সংসদ, শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ সবটারই সেতুবন্ধন বলতে হবে। রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ থাকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। এ ব্যাপারগুলোকে বাদ দেওয়া যাবে না।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিচার বিভাগকে যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে চেয়েছেন সেটি এই শৃঙ্খলাবিধির কারণে হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কোনো উচ্চতা না। সংবিধান হলো সবার উপরে। সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু হতে হবে। একজন ব্যক্তির ইচ্ছাই বড় না। ব্যক্তি থাকবে না, ব্যক্তি মারা যাবে। সংবিধান থাকবে। কোনো ব্যক্তি যদি মনে করেন তিনি সংবিধানের চেয়ে বেশি বুঝে সেটা কিন্তু ভুল।
অসঙ্গতির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অসঙ্গতি থাকার কোনো প্রশ্ন আসে না। তার কারণ সু্প্িরম কোর্টের সঙ্গে আইনমন্ত্রী বসেছেন এবং আমি যতটুকু জানি তাদের দেখিয়েই এগুলো করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের অভিযোগের তদন্ত এবং ফয়সালা কিভাবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি অ্যাপয়েন্টিং অথরিটি। রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে, অসদাচরণ হচ্ছে তাহলে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং দ- দেওয়ার ক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নিবে।