এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে
এ কটি জাতিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, প্রযুক্তি এসব দিক থেকে নিঃশেষ করার জন্য প্রধান অপকর্ম হচ্ছে, জাতিকে মেধার দিক থেকে আঘাত করা।
২৫ মার্চ কালো রাত থেকে শুরু করে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানিরা এই কাজটি করেছে। তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বাধীনতার প্রাক্কালে যেভাবে হত্যা করেছে, এই জাতির ভবিষ্যৎ অগ্রগতিকে অবজ্ঞা করার সামিল। তারা আমাদের দেশের যে ক্ষতিটি করেছে, সেটা অপূরণীয়। আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি। সাথে ঐ পাকিস্তানি, আলবদর, আল সামস নামের হায়েনাদের ঘৃণা জানাই। তাদের যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল, এদেশকে বুদ্ধিজীবীহীন করার, সেটা ঘৃণ্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা যখন বুঝতে পারল, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হতে যাচ্ছে, তখনই বাংলাদেশি কিছু কুলাঙ্গারের সাথে মিলে এই নৃশংস কাজটি করে। যা হোক, এটা আমাদের জন্য একটি বড় ধরণের ক্ষতি ছিল। যদিও আমরা তাদের ষড়যন্ত্র থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছি। তাদের টার্গেটে দেশের আরও অনেক বুদ্ধিজীবী ছিল। কোনো কারণে হয়তো তারা সেটাতে সফল হয়নি।
না হলে আমরা আজ আরও অনেক বুদ্ধিজীবী শূন্য হতাম। তবে এই দেশে এখনো যারা ষড়যন্ত্রকারী আছে, তাদের প্রতি সরকারের নজর দেওয়া উচিত। মাঝে মাঝে এখনো তালিকা পাওয়া যায়। এই দেশকে মেধাশূন্য, বুদ্ধিজীবী শূন্য করার। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সরকারকে সবসময় তৎপর থাকতে হবে।
পরিচিতি : কবি ও অধ্যাপক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাবি.
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ