আমরা ৪৬ বছর ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার দাবি করে আসছি বাম জোটের শীর্ষ নেতাদের প্রতিক্রিয়া
রফিক আহমেদ : সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচার করা সম্ভব। বিগত ৪৬ বছর ধরে আমরা বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার দাবি করে আসছি। সরকার তাদের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করলেও এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীর এ বর্বরোচিত হত্যার কোনো বিচার হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার উল্লেখিত দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এ প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, বুদ্ধিবজীবীরা মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ও স্বপ্ন বুকে ধারণ করেছেন- এটা ৪৬ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। আংশিকভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী ঘাতকদের বিচার হলেও তাদের প্রতিক্রিয়াশীল ভাবাদর্শ থেকে জাতি আজও মুক্ত হয়নি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন তো হয়নি, বরং সেই চেতনার বিপরীতে দেশ সমন্বিত হয়ে চলেছে। এটা আজকের এইদিনে গভীর বেদনা, হতাশা ও লজ্জার বিষয় হয়ে রয়েছে। তাই আজকের দিনে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন শপথে, নতুন শক্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।
৬ বাম দল নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, বিগত ৪৬ বছর ধরে আমরা বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার দাবি করে আসছি। সরকার তাদের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করলেও এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীর এ বর্বরোচিত হত্যার কোনো বিচার হয়নি। এ বিচার করাটা কোনো প্রতিহিংসার ব্যাপার নয়, এটা একটা স্বাধীন জাতি হিসেবে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার সম্পন্ন করাটা ছিল জাতীয় কর্তব্য। কিন্তু গত ৪৬ বছরে নানা রাজনৈতিক সমীকরণের কারণে অতীতের সরকারগুলো এই নজিরবিহীন হত্যাকা-ের বিচারের উপযুক্ত ও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই সুযোগে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতরা দেশ এবং দেশের বাইরে নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত ও পুনর্বাসিত হয়েছে। আমরা মনে করি শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানদের যে দাবি- তা কেবল তাদের নয়, সমগ্র জনগণের। আমরা মনে করি- এখনো সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে যুক্ত বাকিদেরকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবির) সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা দরকার। আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচার করা সম্ভব। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ