আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ৫৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প
অর্থনৈতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যআন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রকল্প-১: ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন অ্যান্ড কাস্টমস আধুনিকায়ন জোরদারকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তায়িত হলে বাংলাদেশের বন্দরগুলোয় আন্তর্জাতিক পণ্য খালাসের পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় ও সময় কমবে। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় হবে ৫৮৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৫৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। বাকি ৫২৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাট্রিবিউন
সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের জন্য ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পটি গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামী ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানান, বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্য আমদানি ও রফতানি প্রক্রিয়াকরণ করা, ছাড়পত্র দেওয়া ও খালাস করতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চ অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছিল।
সংক্রান্ত বন্দরের কার্যক্রমে কারগো ও মালবাহী যান ছাড়ে প্রক্রিয়াকরণ চেইনের বিভিন্ন পর্যায়ে কালক্ষেপণ ঘটে। ১৯৯০ সালের বাণিজ্য উদারীকরণের পরও আমদানি ও রফতানি কার্যক্রমে কার্গোর মাধ্যমে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া এখনও কষ্টসাধ্য। এতে বিপুল পরিমাণ ডকুমেন্ট ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ করতে হয়, যা বৈদেশিক বাণিজ্যে বাধার সৃষ্টি করে এবং লেন-দেন সংক্রান্ত ব্যয় বাড়ে। এর ফলে বেসরকারি ব্যক্তি উদ্যোক্তাপর্যায়ে বাণিজ্য পরিচালনায় ও বিনিয়োগ পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ অবস্থায়, সংশোধিত কিয়োতো কনভেনশন এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বাণিজ্য ট্রেড ত্বরান্বিকরণ শর্ত অনুযায়ী সরকার ন্যাশনাল সিঙ্গাল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) পদ্ধতি অনুসরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম