বাংলাদেশে যে নীতিমালাই চলছে সেটা একটা অঘোষিত, যেটার প্রধান কথা হচ্ছে, জনগণের স্বার্থে না ব্যাবসায়িদের স্বার্থে ও কমিশনারদের স্বার্থে। সেই কারণে জনগণের স্বার্থে চাউলের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে না। ব্যবসায়ী ও কমিশন ভোগীরা চাউলের দাম বাড়াচ্ছে, এরাই হচ্ছে চাউলের দাম বাড়ানোর মূল ভিত্তি। বলা হয়েছিল, আমাদের দেশে চাউল পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে এবং আমরা চাউল রপ্তানি করতে পারব। এখানে সরকারের ভুল নীতি, তাতে করে সরকারের চাউলের মজুদ ঠিক রাখা, ন্যায্য মূল্যে দোকানে বিক্রি করা, গণবণ্টন ব্যবস্থা করা, কোনোটাই তারা যথাযথ করতে পারেনি। সরকার কোনোটাই দুর্নীতিমুক্তভাবে করতে পারেনি। সুতরাং চাউলের বাজারে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে দাম বেড়ে চলেছে। আমরা দেখতে পারছি, কিছু চাতাল মালিকদের কাছে পুরো বাজারটা জিম্মি হয়ে আছে। এতে করে চাউলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আমাদের দেশের কয়েক লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে পড়ে যাচ্ছে। এরপর যারা ব্যবসায়ী তারা সিন্ডিকেট করে টাকার পাহাড় গড়ছে এবং এই সুযোগ নিয়ে আমদানিকারক শুল্ক কমিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেট ভরছে। সরকারের সামগ্রিক বিষয়ে যথাযথ নিয়ম নীতি না থাকার কারণে, যথাসময়ে পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে, এই ধরনের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একশন না নেওয়ার কারণে এ অবস্থা। এর পরে বিকল্প নিজেদের স্টক গড়ে তুলার কথা। সে স্টক গড়ে না তোলার কারণে, সময় মতো বাজারে চাউল না দেওয়ার কারণে, চাউলের দাম বেড়েই চলেছে।
পরিচিতি: সাধারণ সম্পাদক, সিপিবি
মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদানা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ