শাহরিয়ার কবির
গুম হয়ে যাওয়া মানুষেরা ফিরছে। যারা গুম হচ্ছে তাদের বক্তব্য অনুযায়ী অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে টাকা চেয়েছে। অনেকেই ফিরে এসেছে। নিয়ে যাচ্ছে আবার দিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন তদন্ত করছে না? কারা এই কাজগুলো করছে? এরা কেউ কিছু বলছে না যে, কোথায় রাখা হয়েছিল? এতদিন কোথায় ছিল? দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সবই সত্য। যেমন: ফরহাদ মজহারের ঘটনাটা সাজানো ছিল। তিনি স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়েছিলেন। আত্মগোপন করেছিলেন। পুরো ব্যাপারটাই রহস্যজনক। এবং মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের এখন উচিত হবে, যারা ফিরে এসেছে তাদেরকে জেরা করা। এটা তো বোঝাই যাচ্ছে যে, এক বা একাধিক চক্র এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে কি-না? বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যে। এখন আর হলি আর্টিজানের মতো ঘটনা ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। একজন মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়। আমাদের তো এত বেশি পুলিশ নেই, যে মানুষকে ঘরে ঘরে পাহারা দিয়ে রাখবে। আর স্বেচ্ছায় গুম হতে চাইলে তো কাউকে পাহারা দিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। বুদ্ধিমান মানুষ স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করতেই পারে। ফরহাদ মজহার যেটা করেছেন। ফরহাদ মজহার নিজেও বলেছিলেন, তিনি সব জানাবেন। পুলিশের তার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ছিল। ফরহাদ মজহার কেন সাংবাদিক সম্মেলন করেননি, জানাননি? এগুলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। সুপরিকল্পিতভাবে এ রকমটা করা হয়েছে বলে মনে করি। কারণটা খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি গণমাধ্যমেরও তদন্ত করা উচিত। তাহলে অনেক কিছু বের হয়ে আসবে।
পরিচিতি : সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ