শীতে রঙ্গীন পোশাক শাহ্রুখ আমীন
ভোরের আলোতে কুয়াশা মাখা ঠান্ডা হাওয়ায় সবুজ ঘাসে বিন্দু বিন্দু শিশির জানান দেয় শীত ঝেঁকে বসেছে। সেই সাথে পাতা ঝরা গাছের মায়াবি চেহারা আর বাহারি ফুলের নজর কাড়া অপরূপ দৃশ্য বলে ঋতুর বদল হয়েছে। চারপাশের মানুষজনের রুক্ষ চেহারা বলে শীত তাড়াতে আলাদা কিছুর প্রয়োজন।
বর্তমানে বাংলাদেশে আগের মত শীত পড়ে না। আবার শীত পড়লেও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ঢাকা শহরে বড় জোর এক থেকে দেড় মাস শীত থাকে। তবে ঢাকার বাইরে গ্রাম অঞ্চলের অবস্থা ভিন্ন, সেখানে সবমিলিয়ে প্রায় মাস তিনেক শীত থাকে। আবার শহর থেকে গ্রামে শীতের প্রকোপ বেশি। তবে জানুয়ারি মাসে গ্রাম বা শহর সব জায়গাতেই থাকবে খুব শীত। এই শীতে কি দরকার? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গেলে দেখা যায়, নানান ধরনের প্রয়োজনের মধ্যে সবার আগে মোটা দাগে সকল মানুষেরই শীত তাড়াতে ভারী পোশাক দরকার।
একটা সময় শীত তাড়াতে মোটা জ্যাকেট অথবা শালের ব্যবহারেই মানুষ আটকে ছিল। সময় বদলের সাথে এখন কিন্তু জীবন ধারায় পরিবর্তন এসেছে। মানুষের রুচির বদল হয়েছে। পোশাকের বেলায়ও সেই গদবাধা নিয়ম ভেঙ্গে নতুনত্ব এসেছে। শুধু মোটা বা ভারি পোশাক নয়, শীতের কাপড় হয়েছে ফ্যাসানেবল এবং রঙ্গিন। দেখা যায়, তরুন প্রজন্মের কাছে শীতের কাপড় পাতলা না মোটা, শীত মানছে কি মানছে না, সেই ব্যাপারটা বেশ উপেক্ষিত। দৃষ্টি থাকে অন্য দিকে। কাপড় হতে হবে আর্কষণীয় ও নজর কাড়া। বয়সি-কমবয়সি, ছেলে-মেয়ে সবার বেলাতেই দেখা যায় কাপড় পড়ার ঢং বা পোশাকের ডিজাইনের বেলায় লক্ষনীয়ভাবে পরিবর্তন এসেছে। আগে বয়স্ক লোকেরাই শুধু শাল পরত এখন কিন্তু তরুনেরাও শাল পরে। বিশেষ করে তরুন ছেলেদের মাঝে শাল পরার বেশ প্রবণতা বেড়েছে। কারণ, তারা মনে করে, শাল পরাটা ফ্যসানেবল এবং আকর্ষণীয়। মেয়েরাও এখন গদ ভেঙ্গে নানা ধরনের শীতের পোশাক গায়ে জড়াচ্ছে, শালের পাশাপাশি ব্লেজার, জ্যাকেট, ক্যাপ সহ আরো নানা ঢংয়ের শীতের পোশাক তারা পরছে। তবে যে যাই পরুক না কেনো, সবাই কিন্তু ভারি পরছে। সাদা বা এক রঙ্গের কাপড়ের তুলনায় রঙ্গিন কাপড়ে শীত কম। আবার কালো কাপড়ে গরম আছে, সেটা সবাই জানে। এরকম নানান কিছুর হিসাব করলে শেষ বেলায় দেখা যায়, শীত তাড়াতে ভারি কাপড় প্রয়োজন।
পরিচিতি : ফ্যাশন ডিজাইনার, আলমিরা
মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ