বিশ্ব বাজারে দেশীয় ওষুধের প্রচারণায় দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব
রিকু আমির : বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ওষুধ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা পরিচালনার বিষয়ে বিভিন্ন দূতাবাসকে কাজে লাগানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান থেকে।
সোমবার দুপুরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
অনুষ্ঠানে ওষুধ উৎপাদকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভারতের ওষুধ বাজার বিশ্বে প্রমোট করতে ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল আছে। এরকম একটা কিছু বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের জন্যও প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস কাজে লাগানো যেতে পারে। যেসব দেশে ওষুধের বড় বাজার আছে, সেসব দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে ফার্মাসিউটিক্যাল ফেয়ার, ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা-সেমিনার-ওয়ার্কশপ, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্টি পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানানো, বিদেশের চিকিৎসকদের কাছে বাংলাদেশের ওষুধ পরিচয় করানো যেতে পারে।
এ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ওষুধ যাচ্ছে। বিকশিত এ শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করতে সরকার সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বাংলাদেশের ফার্মসিউটিক্যাল প্রোডাক্টসকে ‘ প্রোডাক্ট অফ দ্য ইয়ার-২০১৮’ ঘোষণা করায় এ লক্ষে করণীয় নির্ধারণে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওষুধ রপ্তানি বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ গুরুত্বসহ আলোচনা করা হয়।
ওষুধ উৎপাদকরা বলেন, রপ্তানিকারকদের ক্যাশ ইনটেনসিভ প্রদান, ট্যাক্স সহযোগিতা প্রদান, বাস্তবসম্মত সহযোগিতা করা, বিদেশে কারখানা তৈরিতে বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি, আইসিডিডিআর,বি, নিপসম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।