সরকার আমাদের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করেছে : মুফতি মাহফুজুল হক
ইসমাইল বাবু : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। মন্ত্রী নিজে আমাদের কথা দিয়েছেন যে, মাওলানা সা’দ বাংলাদেশে আসবেন না। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আসলেন। কিভাবে আসলেন তিনি? সরকারের নজরের বাহিরে তো আর আসেননি। সরকারের দ্বিমুখী আচরণের কারণে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার চলমান সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের নেতা মুফতি মাহফুজুল হক আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাওলানা সা’দ নিয়ে দুটি সমস্যা আছে। প্রথমত, তিনি কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং হক্কানি আলেম-ওলামাদের মতামতের বিপরীত বয়ান ইতোপূর্বে দিয়েছেন এবং এখনো দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। দ্বিতীয়ত, শত বছর ধরে দাওয়াতের যে কাজটা চলে আসতেছে, তারই হঠকারীতার কারণে ভারতে তাবলীগ জামাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের আলেম-ওলামা এবং দাওয়াতে তাবলীগের মরুব্বীয়ানে কেরামসহ আমাদের সিদ্ধান্ত হলো, এই দুই সমস্যার সমাধান ছাড়া বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমায় তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কুরআন-হাদিস নিয়ে মাওলানা সা’দের অপব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাওলানা সা’দ বলেছেন, কুরআন শরীফ বুঝে পড়া ওয়াজিব, না বুঝে পড়লে গুনাহ হবে। অথচ হাদিস শরীফে আছে, আল্লাহ তায়ালা কুরআন শরীফ না বুঝে পড়লেও প্রতি হরফে কম পক্ষে ১০ নেকি করে দিবেন।
মালয়েশিয়ার বিশ্ব ইজতেমা স্থানান্তরিত করার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তাবলীগের এই নেতা বলেন, মালয়েশিয়ায় বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় যে লেখালেখি হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া প্রতিবেদন। বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব ইজতেমা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার কারো এখতিয়ার নেই।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন