মরিয়ম চম্পা : হাইতি, এল সালভাদর ও আফ্রিকার দেশগুলোকে নিয়ে অশোভন মন্তব্য করায় বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের এমন আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য তাকে আফ্রিকার নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।
সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, ডিএসিএ বৈঠকে উল্লেখিত দেশগুলোর বিষয়ে আমার ভাষাগত কঠোরতা থাকলেও আমি কোনো বিতর্কিত মন্তব্য করিনি।
কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে অভিবাসন নীতি নিয়ে এক বৈঠকে ট্রাম্প হাইতি, এল সালভাদর এবং আফ্রিকার কিছু দেশকে শিটহোল বলেছিলেন। তার এমন মন্তব্যকে বর্ণবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন। সাবেক মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ভিসেন্ট ফক্স বলেন, ট্রাম্পের মুখই হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট শিটহোল। জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মী রুপার্ট কলভিলি বলেন, ট্রাম্প চাইলেই কোনো দেশকে ছোট করে মন্তব্য করতে পারেন না। আমি দুঃখিত যে, ট্রাম্পের পুরো বক্তব্যটাই ছিল বর্ণবাদী।
ইতালির ভাটিকানের এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে অফেনসিভ। ওয়াশিংটনস্থ আফ্রিকান ইউনিয়নের দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন আফ্রিকান জাতিকে এখনো উপলব্ধি করতে পারেননি। আমেরিকার মতো বৈচিত্রময় নাগরিকের দেশে এমন মন্তব্য মানুষের মর্যাদা ও বিশ্বায়নের জন্য বাধা এবং রীতিমত অসম্মানজনক। পুলিৎজার বিজয়ী আলবার্ত স্ক্যাডিনো বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হচ্ছেন সর্বোচ্চ মাত্রার উন্মাদ, যাকে এখনই উপযুক্ত চিকিৎসা করানো উচিৎ। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির মন্তব্য সাবেক কিং কান্ট্রি নরওয়েকে থুথু দিয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়ে সরকার। নরওয়ের অফিসিয়াল এক বিবৃতিতে বলা হয়, থ্যাংকস, বাট নো থ্যাংক, নরওয়ের কোনো নাগরিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেমোক্রেট নেতা হিলারি ক্লিনটন এক টুইট বার্তায় বলেন, ট্রাম্পের একাধিকবার শিটহোল মন্তব্য কা-জ্ঞানহীন ও বণবার্দী আচরণের প্রমাণ দেয়।
মার্কিন সিনেটর ডিক ডারবিন বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে, প্রেসিডেন্ট যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে, ওই ওভাল অফিসে বসে এর আগে কখনো কোনো প্রেসিডেন্ট তা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করা অসম্ভব বলে পদত্যাগ করেছেন পানামার নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জন ফিলি। সিএনএন, বিবিসি, টাইম। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম