আওয়ামী লীগের পরিকল্পনায় উত্তর সিটি নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন
ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিত করার আগ থেকেই পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন হওয়ার ১ মাস আগে থেকে হাইকোর্টে শুনতে পেরেছি, উত্তর সিটি নির্বাচন হবে না। কারণ, নির্বাচন হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ ২টি ভয়ে নির্বাচন করেনি ১. গত সিটি নির্বাচনের মত, এবার নির্বাচনের জন্য মধ্যরাতে ভোটের ব্যালেট বক্স ভরতে গেলে নির্বাচন কমিশনের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট হয়ে যাবে। সেটি যদি ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে সবার সামনে প্রকাশ পায়, তাহলে এই নির্বাচন কমিশন এর মান একেবারই শুন্য হয়ে যাবে। এবং নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের কোন আস্থা এবং বিশ্বাস থাকবে না ২. আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে এই খেলাটি খেলছে আওয়ামী লীগ। এবং আদালতের মাধ্যমে এই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এজন্য আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন বন্ধ করেছে। মানুষের একটি চালাকি থাকে, কিন্তু আওয়ামী লীগ কত নি¤œমানের চালাকি করছে? নির্বাচনের সম্পুর্ণ দায়িত্ব সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের উপর। ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন বন্ধ করতে না পারলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে । প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং আওয়ামী লীগ এর সব প্রার্থী সব এক কথাই বলছেন যে, আদালতের কথা সবাইকে মানতে হবে। আবার, এই আওয়ামী লীগের লোকেরাই এই আদালতের কথা মানতে চায় না। ছোটবেলায় একটা কবিতা পড়েছিলাম, মারে নাকো ঢুসঢাস, করে নাতো ঠুসঠাস। এখানে কোন আওয়াজ নাই। আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন নেতা কর্মীরা যেভাবে কথা বলেছেন, সেটি সম্পুর্নভাবে প্রমাণিত হয়। আওয়ামী লীগ এর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে।
পরিচিতি : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি
মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুর অদুদ