গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের জয় লাভ
ড. জিনাত হুদা : রবিবার যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হল, অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি রাজনৈতিক মতাদর্শ যারা ধারন করে, তারাই অংশগ্রহণ করেছে। একটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ, দ্বিতীয়টি জাতীয়তাবাদী পরিষদ ও তৃতীয়টি প্রগতি পরিষদ। প্রায় আশিজন প্রার্থী ছিল। বাংলাদেশের যারা গর্বিত গ্রাজুয়েট অর্থাৎ যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষিত সমাজ, নাগরিক সমাজ। তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যে ধারা, মুক্তিযুদ্ধের যে ধারা, বাঙালী জাতীয়তাবাদী যে ধারা, আমাদের অস্তিত্ত্বের যে অহংকার এবং আমাদের অসম্প্রদায়িক যে চেতনা, সেই আদর্শের ধারকদের পক্ষে বিপুল ভোটে রায় দিয়েছে। পঁচিশ জনের মধ্যে চব্বিশ জন জয়ী হয়েছে। জাতীয়তাবাদী প্যানেলের কোনো হারই হয়নি। কারণ, ওই প্যানেলে যিনি জিতেছেন, প্রফেসর ইউসূফ হায়দার, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। সেই সম্মানেই তিনি জয়ী হতে পেরেছেন। এটি একটি ইন্ডিকেশন যে, আমার মনে হয় জাতির কাছে, বর্তমান যিনি প্রধানমন্ত্রী তিনি নারীবান্ধব, নারীর ক্ষমতায়নের সরকার এবং উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এই রায় সেই ধারাবাহিকতাকে চালু রাখবারই একটি পথ। কারণ, আমরা ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটি হিসেবে ঢাকা ভার্সিটিসহ বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে দেখতে চাই। আমরা কোয়ালিটি এডুকেশন চাই এবং তার সাথে সব কিছুর কেন্দ্র বিন্দুতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আনতে চাই। যে শিক্ষার দেশ, সমাজ এবং মাটির সাথে কোনো সম্পর্ক নাই, সে শিক্ষা কারো কোনো কাজেই আসে না। এই তিনটির সমন্বয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন সমাজ, যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশাল ভূমিকা রেখেছে, এই সচেতন গোষ্ঠিও এখানে ভূমিকা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের শক্তি তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিপূল বিজয় লাভ করলো।
পরিচিতি : অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢা.বি.
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ / সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ