শীতের প্রকোপে কাঁপছে দেশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিগত বছরগুলোর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রচ- এই শীতে গরীব-দুঃখীদের কষ্টের সীমা থাকে না। স্বল্পবস্ত্রে কাটে তাদের দিনগুলি। শীতের কষ্ট সইতে না পেরে মারা যান অনেক মানুষ। শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নানা রোগ ও উপসর্গ। অপরদিকে বিত্তবানরা বেশ আরামেই কাটিয়ে দেয় শীতকাল। আরামে থেকে তারা ভুলে যান গরীব-দুঃখীদের কষ্টের কথা। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) শিখিয়েছেন মানুষকে ভালোবাসতে। অভাবীকে সাহায্য করতে। শীতার্তকে বস্ত্র দান করতে। হাদিস শরিফে দুনিয়াতে ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষকে অন্ন ও বস্ত্র দানের পরকালীন প্রতিদান ঘোষণা করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়াতে মানুষকে খাদ্য দান করেছে, কেয়ামতের দিন তাকে খাদ্য দান করা হবে। যে আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষকে পানি পান করিয়েছে, তাকে কেয়ামতের দিন পানি পান করানো হবে। যে মানুষকে বস্ত্র দান করেছে, তাকে কেয়ামতের দিন বস্ত্র পরিধান করিয়ে তার লজ্জা নিবারণ করা হবে। (আবু দাউদ: ৬৪৪৫)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় করে তার উদাহরণ হচ্ছে সেই বীজের মত যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আর প্রতিটি শীষে একশতটি করে দানা থাকে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অতিরিক্ত দান করেন। আল্লাহ সুপ্রশস্ত সুবিজ্ঞ। (সুরা বাকারা-২৬১) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কোন কিছু ব্যয় করবে তাকে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদান করা হবে। (আহমাদ: ৯৭৪৪) অন্যত্র রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি নিজের হালাল কামাই থেকে (আল্লাহ হালাল কামাই ছাড়া দান কবুল করেন না) একটি খেজুর ছাদকা করে, আল্লাহ তা ডান হাতে কবুল করেন। অতঃপর তা বৃদ্ধি করতে থাকেন এমনভাবে যেমন তোমরা ঘোড়ার বাচ্চাকে প্রতিপালন করে থাক। এমনকি একসময় তা একটি পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়। (বুখারি: ৮৬৫৮)
তাই ধনীদের উচিৎ দান করার গুরুত্ব ও ফজিলতের কথা অনুধাবন করে গরীবদের পাশে দাঁড়ানো। নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী তাদেরকে শীতবস্ত্র দান করা। অন্ন দান করে তাদের মুখে সামান্য হাসি ফুটানো। আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমিন।