প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ১৫ আগস্টের ঘটনা শেখ হাসিনাকে জানানো হয়নি
আশিক রহমান ও ইয়াছিন রানা : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতি ছিল প্রতিকূল। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ছিলেন জেলে। অনেকে চলে যান আত্মগোপনে। বিদেশে যেখানে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ছিলেন সেখানেও তাদের কাছে বিষয়টি গোপন করা হয়েছে। তৎকালীন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত সানাউল হক চলছিলেন খুনিদের নির্দেশে। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে খবরটি তিনি জানাননি। ২০ দিন পর বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের নিহতের সংবাদটি ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে জানান ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য নূহ উল-আলম লেলিন এ বিষয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারসহ সবাইকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সার্বিক পরিস্থিতি তখন প্রতিকূল ছিল। এজন্যই এমন একটি মৃত্যু সংবাদ শেখ হাসিনা কিংবা শেখ রেহানাকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমেও তাদের ঘটনাটি জানার কোনো উপায় ছিল না। তারা তো ব্রিটিশ অধ্যুষিত এলাকায় ছিলেন না। ছিল না এখনকার মতো এত উন্নত প্রযুক্তি, মিডিয়াও। তারা ভেবেছিলেন, সবাই বেঁচে আছেন। সবাই যে মারা গেছেন তা জেনেছেন ভারতে এসে, তা শেখ হাসিনাকে নিশ্চিত করেছিলেন ইন্ধিরা গান্ধী। এমন নৃশংস হাত্যার খবর কিভাবে বলা যায় যে, পরিবারের কেউই বেঁচে নেই, সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার এমন শোকের সময় তার পরিবারের সবার হত্যার বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সায়ীদ বলেছেন, আমি যেটুকু জানি- শেখ হাসিনা কিংবা শেখ রেহানাকে হত্যাকা-ের ঘটনাটি জানানো হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকেই তখন জেলে। অনেকে নানা হয়রানির মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। তখন পরিবেশটাই সম্পূর্ণ প্রতিকূল। রাষ্ট্রদূতেরা জানলেও তাদের বলা বারণ ছিল, যাতে কোনোভাবেই এ বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের জানানো না হয়।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির আমাদের অর্থনীতিকে বলেছেন, সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করেই স্বপরিবারে হত্যার বিষয়টি তার কাছে প্রথমে গোপন করা হয়েছিল। সম্পাদনা: আ. হাকিম