পুলিশকে সব দিকেই দেখতে হবে
নুরুল আনোয়ার
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশের গড়িমসি তাকতে পারে। ৩১ জানুয়ারী সংসদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা হলে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পহেলা ফেব্রুয়ারী থেকে সারাদেশে মাদক অভিযান শুরু করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর। কিন্তু এ অভিযানে পুলিশের নিকট থেকে কোন প্রকার সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এসেছে। এমন কি কোন কোন থানায় অভিযানে যাওয়ার পুবেই, পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অপরাধীদের তথ্য পাচার করে দিচ্ছে। যার ফলে অপরাধীদের গ্রেফতার কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এটা তো ঠিক নয়। যদি এমনটাই করে থাকে তবে এটা খুবই গর্হিত কাজ। পুলিশেরও দায়িত্ব আছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ তো শুধু মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নয়। মাদকের অপব্যবহার তো একটি ফৌজদারি অপরাধ। সুতরাং পুলিশেরও দায়িত্ব এটাকে দমনে কাজ করে যাওয়া।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যেমন কাজ শুধু মাদক নিয়ে, কিন্তু পুলিশকে সবই দেখতে হবে, মাদকের অপব্যবহার দমনে কাজ করতে হবে। মাদকদ্রব্য আইনে বলা আছে, মাদক তৈরি, মাদক দ্রব্য বিক্রি কিংবা মাদকের পাচার একটি ফৌজদারি অপরাধ। এগুলো তো পুলিশের কাজ। পুলিশ কোন সহযোগিতা করছে না, কিংবা পুলিশ নিজেই এর সাথে জড়িত বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, যদি এমন হয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত করে দেখতে পারেন। যেহেতু দুই ডিপার্টমেন্টেরই প্রধান হচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় দুই ডিপার্টমেন্টকেই নিয়ন্ত্রণ করে। প্রয়োজন হলে তাদের কে তদন্ত করে দেখতে হবে এবং পুলিশের উচ্চ পর্যায় থেকেও দায়িত্ব নিয়েও তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের কাজ করা যেতে পারে।
পরিচিতি : সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ