ক্ষমতায় গেলে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ সেনা দিবস পালন করবে বিএনপি
শাহানুজ্জামান টিটু : ক্ষমতায় গেলে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ সেনা দিবস পালন করবে বিএনপি। দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এদিনটি জাতির জন্য ট্র্যাজেডি। তাই ক্ষমতায় গেলে দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল সকালে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বনানীর সেনা কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা সদস্যদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির এই নেতা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পরে মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকা-ের ঘটনা ছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ। ওই হত্যাযজ্ঞের পূর্ণাঙ্গ বিচার আজও হয়নি। বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার এখনও ঝুলে আছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত ছিল, তা এখনো বেরিয়ে আসেনি। অনেকেই অভিযুক্ত হয়েছেন। তাদের শাস্তি হয়েছে। মৃত্যুদ- হয়েছে, ফাঁসিও হয়েছে। আরও যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত, তারা এখনো দ-িত হননি। এগুলোর একটি সমাধান প্রয়োজন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের রায় কার্যকর হয়নি। সেদিন যারা গুলি চালিয়েছিলেন, তাদের হয়তো বিচার হয়েছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা রয়েছে, যারা এই নীলনকশা করে দেশপ্রেমিক সেনাদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার হয়নি।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে ইলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ইসহাক, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মনিষ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত