আমাদের ছেলে-মেয়েরা পৃথিবীর অনেক দেশের থেকে মেধাবী : প্রধানমন্ত্রী
হুমায়ুন কবির খোকন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বর্ণপদক নিয়েছেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২৬৫ জন মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী। গতকাল রোরবার সকালে নিজ কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৫ ও ২০১৬’ বিতরণ করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ ২০১৫ ও ২০১৬ প্রদান অনুষ্ঠানে এ বছর ২৬৫ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে এই পদকে ষিত করা হয়। সরকারি-বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর বা সিজিপিএ অর্জনের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৫ সালের জন্য ১২৪ জন এবং ২০১৬ সালের জন্য ১৪১ শিক্ষার্থী এই পদক লাভ করেন।
স্বর্ণপদক পাওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে এখানে যাদের স্বর্ণপদক দিলাম; তারা প্রত্যেকে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। আমার তো খুবই খুশি লাগলো। এতগুলো ছেলে-মেয়ে আমাদের কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেল। কত মেধা আমাদের দেশে রয়েছে! আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা পৃথিবীর অনেক দেশের থেকে মেধাবী বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশ্বায়নের যুগে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে গুণগত ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার ওপর জোর দিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিই সকল প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে সভ্যতাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৫ সালের জন্য পদকপ্রাপ্ত ১২৪ জনের মধ্যে ৫১ জন নারী। আর ২০১৬ সালে স্বর্ণপদক পাওয়া ১৪১ জনের মধ্যে নারী ৬৮ জন। প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, ২০১৬ সালে মেয়েদের সংখ্যাটা বেশ বেড়ে গেছে।
পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের দিন তো শেষ। এরপর তোমাদের চালাতে হবে, তোমাদের দায়িত্ব নিতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের এবং ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বক্তব্য রাখেন।
পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যকলা বিভাগের ছাত্রী রুবাইয়া জাবিন প্রিয়তী এবং বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য দিল আফরোজ বেগম। পরে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সকলের সঙ্গে ছবি তোলেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান