ভারত থেকে রেকর্ডসংখ্যক মুসলমান হজে যাবেন, কমল বিমান ভাড়া
পার্সটুডে : ভারত থেকে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক মুসলমান হজে যাবেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন হজে যাচ্ছেন। বিমান ভাড়াও ১৫ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। সৌদি সরকার চলতি বছরে ভারতের জন্য হজযাত্রার কোটা ৫ হাজার বৃদ্ধি করেছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি গত মঙ্গলবার বিমান ভাড়া কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৩ সালে সাবেক ইউপিএ সরকার কর্তৃক ২০১৪ সালে হজ যাত্রার জন্য যে বিমান ভাড়া ঘোষিত ছিল সেই তুলনায় তা এবার অনেকটাই কমেছে। হজ যাত্রীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরেই ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা থেকে হজে গেলে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫০ টাকা বিমান ভাড়া দিতে হতো। এবার তা কমে ৮৯ হাজার ৫৮৯ টাকা করা হয়েছে। মুম্বাই থেকে বিমান ভাড়া আগে ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা ছিল। বর্তমানে তা কমে ৫৭ হাজার ৮৫৭ টাকা হয়েছে। ২০১৩/২০১৪ সালে শ্রীনগর থেকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫০ টাকা বিমান ভাড়া ছিল, বর্তমানে তা কমে ১ লাখ ১ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। আহমেদাবাদ থেকে ভাড়া ছিল ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা, বর্তমান তা কমে ৬৫ হাজার ১৫ টাকা করা হয়েছে। এ বছর এয়ার ইন্ডিয়া, সৌদি এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস বিমান সংস্থার মাধ্যমে হজযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে। এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য কোলকাতা, চেন্নাই, গোয়া, নাগপুর, শ্রীনগর, মুম্বাই কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সৌদি এয়ারলাইনসের জন্য আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, কোচি, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর এবং ফ্লাইনাসের জন্য আওরঙ্গাবাদ, ভোপাল, ম্যাঙ্গালুর, গয়া, গুয়াহাটি ও রাঁচিতে কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে পশ্চিমবঙ্গের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম আজ (বুধবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়া কোথা থেকে কম হবে কোথা থেকে ভাড়া বেশি হবে তা নিয়ে দূরত্ব অনুসারে কিছুটা কম বেশি হয়তো করছে। কিন্তু আমাদের কথা হলো এয়ার ইন্ডিয়াকে সামনে রেখেই হাজীদের যাতায়াত করতে হবে এটা আমরা চাচ্ছি না। তাতে সরকার ভর্তুকি, তুলে দিক বা রাখুক তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
তিনি বলেন, ‘যাতে এয়ার ইন্ডিয়া থেকে হাজীরা সরে না যায় সেজন্য বিমান ভাড়া কমানো-বাড়ানো করা হয়েছে, এটা একটা কৌশল। এবার ওরা হিসাবটা বুঝতে পারছে।’ হজযাত্রীরা যেকোনো বিমান সংস্থার মাধ্যমে হজে যেতে পারবেন বিষয়টি এমন হওয়া উচিত বলেও মুফতি আব্দুস সালাম মন্তব্য করেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ