সুনামগঞ্জে অধিকাংশ হাওররক্ষা বাঁধের কাজ অসম্পূর্ণ,বোরো ফসল নিয়ে শঙ্কা
নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জে প্রায় দুই লাখ হেক্টর বোরো ফসল অকাল বন্যা থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণে রেকর্ড পরিমাণ বরাদ্দ হয়েছে এবার। এই পরিমাণ বরাদ্দ এবারই প্রথম। ১১৫ টি ক্লোজার এবং প্রায় ১৫শ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৭৭ কোটি টাকা। ৯৬৫ টি পিআইসির (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির) মাধ্যমে হাওররক্ষা বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার ছিল বাঁধের কাজ শেষ হবার নির্ধারিত দিন। কিন্তু অধিকাংশ বাঁধেই ৪০ থেকে ৫০ ভাগের বেশি কাজ হয়নি। আর যেসব বাঁধে কাজ শেষ হয়েছে সেগুলোতেও কমপেকশন এবং স্লোপের কাজ হয়নি। এতে বোরো ফসল নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, জগন্নাথপুরের ভোরাখালী স্লুইসগেট সংলগ্ন বাঁধের কাজ এখনো পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কাজ হয়নি। এই হাওরের হালেয়া পতিত বাঁধে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ মাটি পড়েছে। কামারখালী নদীরপাড়ের বাঁধসহ সবগুলো বাঁধের একই অবস্থা। দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের বৈশাখী বাঁধ ভেঙেই গত বছর হাওর ডুবেছিল। এই বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ ভাঙন এখনো ভরাট হয়নি। বাঁধের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন পিআইসি সভাপতি নূরে আলম চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, বাঁধের কাজের মেয়াদ ছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ অভিযান চলছে। পিআইসি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই এবারও দায় নিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান